পাবনায় পুকুরে বিষ দিয়ে ২৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ ও গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, গতকাল বুধবার ভোরে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের মোমরাজপুর এলাকার দীপংকর হালদারের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশি সাবেক মেম্বার রঘুনাথ হালদারের সঙ্গে দীপংকরের বাবা দিলীপ হালদারের জমি ও পুকুরে মাছ চাষসহ বিভিন্ন বিষয়ে শত্রুতা ছিল। এরই জেরে বুধবার ভোরে দীপংকরের বাড়ির পাশের পুকুরে বিষ ও গ্যাস ট্যাবলেট ঢেলে দেওয়া হয়। এতে পুকুরের মাছগুলো মরে ভেসে উঠে। পুকুরে পাঙ্গাস, রুই, কাতল, তেলাপিয়া, বাটাসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় চার শতাধিক মণ মাছ ছিল।
দীপংকরের বাবা দিলীপ হালদার অভিযোগ করে বলেন, ‘রঘুনাথ হালদার ওই পুকুর আগে চাষ করতেন। কয়েক বছর ধরে আমরা চাষ করি। এই নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই পুকুরের একাংশ জমি আমরা কিনে নিয়েছি, আরেক অংশ ইজারা নিয়েছি। ওই পুকুরের জমি কেনা নিয়ে রঘুনাথের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা হয়। কয়েকদিন আগেই রঘুনাথ আমাদের হুমকি দিয়ে বলেছিলেন ‘ওই পুকুরে কী করে আমরা মাছ চাষ করি দেখবে।’
এ কথা বলার দুদিন পরেই এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে দীপংকর হালদার বলেন, ‘আমি চারটা পুকুরে মাছ চাষ করি। বন্যার সময় হওয়ায় নদী সংলগ্ন তিনটি পুকুর থেকে মাছ তুলে বাড়ির কাছে এই পুকুরে রেখেছিলাম। আশা করেছিলাম- মাছগুলো এখন বিক্রি করে ঋণ শোধ করবো। আমার প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ আছে। পুকুরে বিষ দেওয়ায় আমার প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাছ মরে গেছে। এখন আমি পথে বসে গেলাম। কোনো বিবেকবান মানুষ এই ধরনের কাজ করতে পারে না।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রঘুনাথ হালদার বলেন, ‘ওরা কি অভিযোগ করেছে আমি জানি না। কিন্তু আমার কথা অন্যায় যে করেছে সে সাজা পাবে, আইন তার বিচার করবে। আমি এসব করি নাই। ওরা যা করতেছে তাই করুক, আমার কোনো অভিযোগ নাই।’
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’