নয়াপল্টনে বসে বিএনপির সরকার চালানোর ঘোষণা চিন্তার বিষয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি নয়াপল্টনে ২৫ লাখ লোকের সমাগম কেন ঘটাতে চায়, এটা এখন আমাদের চিন্তার বিষয়। কেন তারা সেখানে সমাবেশ করতে চায়, সেটা আমাদের দেখার বিষয়। এখানে সমাবেশ করার উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওলাদ হোসেন মার্কেটে আজ বুধবার এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নয়াপল্টনে বসে বিএনপি বিকল্প সরকার পরিচালনার যে ঘোষণা দিয়েছে, তা আমাদের জন্য চিন্তা-ভাবনার বিষয়। এখানে বসে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করলে সরকার আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’
নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দিলে অসুবিধা কোথায়? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি অনেক লোকের সমাবেশ ঘটাতে চায় বলে ঘোষণা করেছে। এ ধরনের সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই উপযুক্ত স্থান। ব্যস্ততম সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করলে জনগণের দুর্ভোগ বাড়বে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে, এখানে বসেই তারা ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। সেগুলো যদি হয়ে থাকে তাহলে সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সব দলের বড় সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়া হয়। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে সরকার আইন প্রতিষ্ঠিত করা ও মানুষের জানমাল রক্ষায় যা করা দরকার তাই করবে। ২০-২৫ লাখ মানুষের সমাগম নয়াপল্টনে সম্ভব না। বড় সমাবেশ হলে সোহরাওয়ার্দীতে হয়।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নয়াপল্টনে বসে সরকার পরিচালনার যে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি, যদি এটাই তাদের সমাবেশের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া ও জানমাল রক্ষা করাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব।’
বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো। দেশের মানুষের মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হোক এমনটা সরকারও চায় না। সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।’