মাদারীপুরে ভূমি অধিগ্রহণে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার ১
মাদারীপুরে ভূমি অধিগ্রহণের দুই কোটি টাকা একটি প্রতারকচক্র হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে এ মামলা হওয়ার পর পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার নথি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ডাউয়ারচর মৌজার পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের এলএ কেসের ৬৪১ নং দাগের মালিকানাধীন সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে একটি প্রতারকচক্র ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা উত্তোলন করে। পরে জমির প্রকৃত মালিক হারুন বেপারী জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেন। এতে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
পরে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের নির্দেশে মাদারীপুর ভূমি অধিগ্রহণ শাখার অফিস সহকারী সোহাগ মোল্লা বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর মফিতুল্লাহ হাওলাদার কান্দি গ্রামের শাহিন বেপারী (৫৬), দত্তপাড়া গ্রামের আলী জামান (৫৫) ও আক্তারুজ্জামান (৪৫) এবং বাঁচামারা গ্রামের নাসির উদ্দিন ও দত্তপাড়া খা কান্দি গ্রামের নজরুল খাকে (৩৫) আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে শাহিন বেপারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বাদী সোহাগ মোল্লা মামলা নথিতে দাবি করেন, আসামিরা এক কোটি আটাশি লাখ চৌদ্দ হাজার তিনশ টাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছে।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হারুন বেপারী বলেন, ‘আমার মালিকানাধীন জমির বিল তুলতে গেলে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হই। পরে জানতে পারি আমার জমির বিল একটি প্রতারকচক্র নিয়ে গেছে। আমি এর বিচার চাই।’
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতারণা করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ একটি মামলা হয়েছে। মামলায় এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের গ্রেপ্তার ব্যক্তি প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণে প্রতারণার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’