নিত্যপণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। রমজান মাসে দ্রব্যমূ্ল্য বাড়ার কোনো কারণ নেই। যদি কোনো ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার আশায় পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা করে, তাহলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন বণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা মাঠে গতকাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ডিজিটাল পল্লী স্মার্ট ভিলেজ এক্সপো-২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।

রোজায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর অনেক কমিটি গঠন করেছে—উল্লেখ করে বণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে দ্রব্যমূ্ল্য বাড়ার কোনো কারণ নেই। এর পরও যদি কোনো ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার আশায় পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা করে তাহলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও মাঠে কাজ করবেন।’  

বণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডিজিটাল পল্লী  ও স্মার্ট ভিলেজ নির্মাণে কাজ করছে সরকার। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২২-এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায়  সরকার এখন ২০৪১ সাল নাগাদ উদ্ভাবনী  ও মেধাভিত্তিক  অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা জন্য শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলেও ডিজিটাল পল্লী গড়ে তুলতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে।’

বণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শহরের পাশাপাশি গ্রামে থাকা মানুষের  জন্য স্বাভাবিক ও উন্নত  জীবনযাত্রা  নিশ্চিত করতে  শেখ হাসিনার সরকার  অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে কাজ করছে। আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশর প্রতিটি গ্রাম হবে স্মার্ট ভিলেজ।  তাই তিনি তরুণদের লেখাপড়ার পাশাপাশি আইটিতে দক্ষ হওয়ার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকার কোনো ধরনের সিন্ডিকেট ও অনিয়ম বরদাস্ত করবে না। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আপনার প্রয়োজনের অতিরিক্ত মালামাল মজুদ করবেন না। তাহলে ব্যবসায়ীরা মূল্য বৃদ্ধি করতে পারবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আক্তার হোসেন,  ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, দারাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মুস্তাহিদ হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাছিবা খান।

ডিজিটাল ব্যবসার ধারণা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেজ প্রমোশন কাউন্সিল এবং ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর সমন্বিত উদ্যোগে এই এক্সপ্রো আয়োজন করা হয়। দেশে এই প্রথম ডিজিটাল পল্লী স্মার্ট ভিলেজ এক্সপো মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট ৬৫টি স্টল তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শনী করে।