আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে ৩২৩ চরমপন্থি
৩২৩ জন চরমপন্থি ২০০ অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আগামী রোববার (২১ মে) সিরাজগঞ্জে র্যাব-১২-এর তত্ত্বাবধানে তারা আত্মসমর্পণ করবে।
আজ বুধবার (১৭ মে) দুপুরে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে চরমপন্থিদের অপরাধ জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে র্যাব কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২১ মে র্যাব-১২-এর তত্ত্বাবধানে সিরাজগঞ্জে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এলএম লাল পতাকা বাহিনীর ২৯৪ জন, জনযুদ্ধের ৮ জন এবং সর্বহারার ২১ জনসহ সর্বমোট ৩২৩ জন চরমপন্থির সদস্য প্রায় ২০০ অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ ছাড়া উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়রে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। আত্মসমর্পণ করা চরমপন্থি সদস্যদের অপরাধ জীবন থেকে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমাজে স্বাভাবিক পেশায় স্থানান্তর করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অপরাধ দমনে র্যাবের কর্ম পরিকল্পনা বহুমাত্রিক। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অপরাধীদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সব সময় তৎপর রয়েছে র্যাব। অপরাধ দমনে র্যাব শুধু আভিযানিক প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকেনি, র্যাবের গবেষণা ও প্রশিক্ষণের আলোকে সৃষ্টিশীল ও সময়োপযোগী নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করে পুনর্বাসনের মাধ্যমে অপরাধীদের স্বাভাবিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে বিভিন্ন মানবিক ও সৃষ্টিশীল প্রকল্পের মাধ্যমে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বগুড়া, কুষ্টিয়া, পাবনা, মেহেরপুর, রাজবাড়ী জেলাসহ দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বহারা ও চরমপন্থিদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তাদের আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য বিভিন্ন কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রদান, আইনগত সহযোগিতাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তার মাধ্যমে সমাজে স্বাভাবিক পেশায় পুনর্বাসিত করা হবে।