অর্থ হ্যাকের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন (১০ কোটি ১০ লাখ) ডলার হ্যাকিংয়ের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা করা হবে কি না, সে বিষয়ে আইনগত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে চীনের একটি গ্রুপ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনে ১০১ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেয়। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার ব্যাংকে পাচার হওয়া ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফেরত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে ফিলিপাইনের সেন্ট্রাল ব্যাংকে পাচার হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার ফেরত পাওয়ার বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, ‘এটার আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনে আমাদের প্রত্যেকটা পয়েন্টে আইনগত পর্যালোচনা হবে। এরপর পরবর্তী বিষয় কী করা হবে, এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
‘ফিলিপাইনের বিষয়টা এখনো এফআইও টু এফআইও আমাদের যোগাযোগটা রয়েছে এবং এখন তদন্ত হচ্ছে। ইনভেস্টিগেশন হচ্ছে। তো এতটুকুই। ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) শেষ না হওয়া পর্যন্ত এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভ ব্যাংকের পক্ষ থেকে হ্যাক হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করছে, তাদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
গত মাসে হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটলেও শুরুতে সরকারকে না জানানোর বিষয়ে ডেপুটি গভর্নর বলেন, তদন্তের স্বার্থেই বিষয়টি জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘এটি সত্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু অর্থ থেকে কিছু হ্যাকড হয়েছে এবং তার পরিমাণটা প্রায় এইটটি ওয়ান (৮১) মিলিয়ন ডলার এবং তা ছাড়াও আরো একটি অংশ হয়েছিল, যেটি শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিল, সেই টোয়েন্টি (২০) মিলিয়ন (দুই কোটি) ডলার আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি।’