দুই উপনির্বাচন : তিন কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে গেজেটের সিদ্ধান্ত
লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের গেজেট প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে অনিয়মের দায়ে তিন কেন্দ্রের ভোট বাতিল ও দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
নির্বাচন কমিশন ভবনে আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) সাংবাদিকদের ইসির সিদ্ধান্তের কথা জানান সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে কিছু অনিয়ম গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। সে তথ্যের আলোকে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদন্ত করিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন কমিশন পেয়েছে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ খাগরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি ভোটক্ষের জালভোটের কিছু ছবি গণমাধ্যমে আসে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—ওই একটি কেন্দ্রে ভোটের অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। এর আলোকে ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে জাল ভোটের জন্য। তাদের বিরুদ্ধে আরপিও অনুযায়ী মামলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ওই দুই বুথের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারি পোলিং অফিসারের বিরুদ্ধে নির্বাচনি কর্মকর্তা বিশেষ আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন রিটার্নিং অফিসার ওই কেন্দ্রের ভোট বাদ দিয়ে নতুন করে ফলাফল বিবরণী পাঠালে কমিশন গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করবে। কারণ, ওই কেন্দ্রের ভোটে দুই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের ভোটের ব্যবধান বেশি হওয়ায় ফলাফল বিবরণী পেলেই লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের গেজেট করবে। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে দুটো ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। যাত্রাপুর নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও শরিপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।’
জাহাংগীর আলম আরও বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডং ও পোলিং অফিসারের বিরুদ্ধে ১৯৯১ নির্বাচনী কর্মকর্তা বিশেষ বিধান আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুই কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে সংশোধিত ফলাফল পেয়ে গেজেট প্রজ্ঞাপন করবে ইসি।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা হবে প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, ‘এটা মাননীয় কমিশন বলেছেন, যে নভেম্বরের মাসের প্রথমার্ধে, তো প্রথমার্ধের এখনও সময় আছে। আপনারা সে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’
এর আগে নির্বাচন কমিশনাররা বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে।