ব্যক্তিগত শেয়ার কমে যাওয়ায় শঙ্কিত ফেসবুক
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের শুরুটা হয়েছিল মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ারের একটি মাধ্যম হিসেবে । মানুষ এখানে তাঁর জীবনের ব্যক্তিগত মুহূর্ত, কারো সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠা অথবা সন্তানদের ছবি বন্ধু বা স্বজনদের সঙ্গে শেয়ার করত। কিন্তু এর পরিবর্তন ঘটেছে।
প্রযুক্তি বিষয় সংবাদমাধ্যম ‘দি ইনফরমেশন’ ও ‘ব্লুমবার্গে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় বা মুহূর্তের শেয়ার যতটা বাড়বে বলে আশা করেছিল ফেসবুক, প্রকৃতপক্ষে সেটি ঘটেনি। বর্তমানে সর্বোপরি শেয়ার বাড়লেও ফেসবুকে ব্যক্তিগত শেয়ার কমেছে। আর এমন পরিবর্তনে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ফেসবুক।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের মতে, সর্বোপরি শেয়ারের সংখ্যা বাড়লেও ব্যক্তিগত বিষয়ের শেয়ার কমছে। ফেসবুকে মানুষের শেয়ারের ধরনে পরিবর্তন ঘটেছে। ১০০ কোটির বেশি গ্রাহকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে ভিডিও এবং ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ারের প্রবণতা বেড়েছে।
ফেসবুক জানিয়েছে, স্ট্যাটাস হালনাগাদ করা, ছবি পোস্ট বা নিজের সম্পর্কে লেখার মতো ব্যক্তিগত বিষয়গুলো শেয়ারের হার কমে গেছে। এখন ব্যক্তিগত বার্তা আদান-প্রদানের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ (ফেসবুকের মালিকানাধীন) ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো অ্যাপ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দি ইনফরমেশন জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় প্রকৃত বিষয় শেয়ারের সংখ্যা ১৫ শতাংশ কমে গেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ দল গঠন করেছে ফেসবুক। ওই দল ‘অন দিস ডে’ এর মতো বিশেষ সুবিধা এসেছে। এর মাধ্যমে কোনো ব্যবহারকারীর আগের পোস্ট স্মরণ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য অনুযায়ী সংবাদ সরবরাহ করে ফেসবুক।
দি ইনফরমেশন আরো জানায়, ফেসবুকে সপ্তাহে কার্যকর থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ৩৯ শতাংশ প্রকৃত বিষয় শেয়ার করে। একে ‘কনটেক্স কলাপ্স’ বলে বর্ণনা করেছে ফেসবুক। ফেসবুকের সাম্প্রতিক অ্যাপ হলো লাইভ ভিডিও, যা শিগগিরই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হয়।