বসন্ত বিদায়
যাবার আগে রাঙিয়ে দিয়ে যাও
আর মাত্র কয়েকদিন পরই বিদায় নেবে ঋতুরাজ ‘বসন্ত’। তার সাথে সাথেই নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাঙালি বরণ করে নেবে নতুন বছরকে। প্রকৃতিতে তাই এখন বাজছে বসন্তের বিদায়ী সুর। আর এ কারণেই বিদায়ের আগে এই বসন্ত যেন সবার জীবনকে আরেকবার রাঙিয়ে দিয়ে যায় তারই আহ্বান জানানো হলো- নাচ, গান আর পাঠে।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে নাচ, গান আর পাঠ নিয়ে ‘যাবার আগে, রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ শিরোনামের এই অনন্য আয়োজনটি করে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখা।
‘আজি দখিনা দুয়ার খোলা’ গানের সঙ্গে ভাবনার শিল্পীদের সমবেত নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বসন্তকে বিদায় জানানোর আয়োজনের শুরুটা হয় সন্ধ্যার একটু পরই।
উদ্বোধনী নাচের পরই সমবেত কণ্ঠে একসেঙ্গ গেয়ে উঠে ‘রং লাগলো বনে বনে’। এরপর একক কণ্ঠে সেমন্তী মঞ্জুরী গেয়ে শোনানা ‘বাসন্তী হে ভুবন মোহিনী’। তারপর সমবেত কণ্ঠে গীত হয় ‘ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে’।
নৃত্যন্দনের শিল্পীরা ‘সব দিবি কে’ গানের সঙ্গে পরিবেশন করেন বসন্তের নৃত্য। পুরো নন্দনমঞ্চের চারপাশে হাজারো মানুষের মিলনমেলা বসে এই আয়োজনকে ঘিরে।
দ্বৈত কণ্ঠে আশরাফুজ্জামান ও শ্রেয়া পরিবেশন করেন ‘যদি তারে নাই চিনিলে’, সেমতন্তী মঞ্জুরী ও সুদীপ সরকার শোনান ‘আমার এই পথ ভোলা এক পথিক’।
আরো দুটি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যন্দনের শিল্পীরা। আবৃত্তি করেন ডালিয়া আহমেদ ও বেলায়েত হোসেন। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বসন্তকে বিদায় জানানোর এই সন্ধ্যা।