দাম্পত্য জীবনে আপনি কি অসুখী? সমাধান করুন ৭ উপায়ে
বর্তমানে ডিভোর্স বা তালাকের হার বেড়েই চলেছে। কিন্তু অধিকাংশ বিবাহ বিশেষজ্ঞের মতে, বেশির ভাগ দম্পতিরা সম্পর্ক ভাঙার লক্ষণ বুঝতে পারলেও তা ঠিক করে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন না। আপনার বিবাহিত জীবনকে সুখকর করে রাখতে টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এই তালিকা একবার দেখে নিতে পারেন।
কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া যাবে না
নিজের ইচ্ছাকে কখনো সঙ্গীর ওপর চাপিয়ে দেবেন না। আপনার যদি সন্তান থাকে, তাহলে এখন বেশির ভাগ সময় তাকে নিয়ে কাটাতে হবে, এটা ঠিক। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সঙ্গীকে নিয়ে রাতে খেতে যাবেন না, দুজন রোমান্টিক সময় কাটাবেন না। সুযোগ করে সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটান।
গোপন রাখুন
আপনি কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তিত হলে তা সঙ্গীকে অনেক সময় না বলাই ভালো। সত্য এড়ানো মানেই মিথ্যা বলা নয়। সততা বজায় রাখুন। দাম্পত্য জীবনকে ক্ষতি করতে পারে এমন কোনো কিছু না বলাই ভালো।
শক্তিশালী বন্ধন
আপনি যদি প্রায় দিন দেরি করে অফিস থেকে ফেরেন কিংবা ছুটির দিনও অফিসে যান এবং অফিসের কাজ বাসায় নিয়ে আসেন, তা সম্পর্কের জন্য হুমকিস্বরূপ। অবিলম্বে তা পরিহার করে দাম্পত্য জীবন সুখময় করতে স্ত্রীকে সময় দিন।
দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রাখা
অনেকেই বিয়ের কয়েক মাস পর শারীরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব কম দেন, যা একেবারেই ভুল ধারণা। বিবাহিত জীবন যত দিনের হোক না কেন, একে অপরের প্রতি আকর্ষণ বজায় রাখুন।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
আপনি যদি কোনো ভুল করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তার জন্য জবাবদিহি করা উচিত। আপনার ভুল কৃতকর্মের জন্য অযৌক্তিক কারণ দেখালে আপনার ওপর সঙ্গীর বিশ্বাস কমে যাবে। এতে বিবাহিত জীবনে কলহ দেখা দেবে। এজন্য জবাবদিহি থাকা উচিত।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা
আপনার স্ত্রী সংসারে যা যা করে, সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তাঁর কাজের মূল্যায়ন করতে শিখুন। তাঁকে অবমাননা করবেন না।
অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ এড়ানো উচিত
আপনি এমনি জানতে চাইতে পারেন আপনার স্ত্রী কোথায় যাচ্ছে, কত টাকা ব্যয় করছে। সে কোথায় যায়, এত খরচ কেন করছে, কার সঙ্গে ফোনে কথা বলে—এসব বিষয় নিয়ে নিয়মিত কথা বললেও তর্কে জড়ালে সম্পর্কে বিভিন্ন সমস্যার উদয় হয়।