বেড়িবাঁধে ভাঙন, জলোচ্ছ্বাসে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের কারণে পটুয়াখালী-গলাচিপা সড়কের সুহরি স্লুইসগেটের এপ্রোচ ভেঙে গিয়ে রাত থেকে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল ৫ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ো বাতাস ও ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে জেলাজুড়ে। বিভিন্ন এলাকায় বেরিবাঁধ ভেঙে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৬ মে) রাত থেকে পটুয়াখালী জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলা বিদ্যুৎবিহীন। উপজেলাগুলোতে কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ নেই শনিবার থেকেই। ফলে মোবাইলফোনের নেটওয়ার্কও দুর্বল। জোয়ারের পানিতে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ২ থেকে ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।
গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসাইন জানান, বিভিন্ন এলাকায় বেরিবাঁধ ভেঙে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চরবাংলায় কোনো বেরিবাঁধ না থাকায় ওই চরের প্রায় দুই হাজার বাসিন্দা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, আজ ভোররাত ২টা ৪২ মিনিটে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ১১১ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে এবং সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ জানান, রাতে উপজেলাগুলোতে ৫৯ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে শুকনো খাবার ও রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ চলছে।