আন্দোলনে আহতরা বিজিবি হাসপাতালে উন্নত সেবা পাচ্ছেন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সহিংসতায় আহতরা বিজিবি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে উন্নত সেবা পাচ্ছেন।
আজ বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর পিলখানা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হাসপাতালে আহত বিজিবি সদস্য ও শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বিজিবি হাসপাতালের পরিবেশ যেমন সুন্দর তেমন ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থাও ভালো। এখানে চিকিৎসক যারা আছেন তারা খুবই নামি-দামি। আহতদের উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। বিজিবি মহাপরিচালক আমাকে বলেছেন, আরও কয়েকজন রোগীকে এই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি হাসপাতালে আহতদের সবাই ভালো আছেন। তাদের বিশ্বমানের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’ আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দর্শনার্থীদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। রোগী থেকে আপনারা দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। আপনারা সবাই দোয়া করবেন। আর যদি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা করতে পারেন, সেটাও বড় ধরনের উপকার।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত চিকিৎসাধীন বিজিবি সদস্য ও ছাত্র-জনতার সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। এরপর উপদেষ্টা আহতদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বিজিবি মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন।
সাম্প্রতিক সহিংসতায় সারা দেশে তিনজন বিজিবি সদস্য নিহত এবং ১৩০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৫ জনকে বর্ডার গার্ড হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে এবং চারজন বিজিবি সদস্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া আন্দোলন চলাকালে আহত বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য স্থান থেকে আগত ১৯ জন শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ বর্ডার গার্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে তিনজন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে।