শিশুর জন্য ইউটিউব সুরক্ষিত করবেন কী উপায়ে?
অনেক শিশুই রয়েছে যাদের অধিকাংশ সময় কাটে ইউটিউব দেখে। বিশেষ করে ইউটিউবে ভিডিও, শর্টস সবই স্ক্রল করতে থাকে তারা। আর ভিডিও দেখার সময় এমন অনেক ভিডিও সামনে আসে যা শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয়। ইউটিউবে এত বেশি প্রাপ্তমনস্কদের জন্য ভিডিও রয়েছে, যা শিশুদের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। এটি নিয়েই অভিভাবকদের চিন্তার শেষ নেই। সন্তান ইউটিউবে কী দেখবে আর কী দেখবে না, তা নির্ধারণ করে দিন। তার জন্য কী কী করতে হবে, সেই কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. ইউটিউবে নিয়মিত ‘ওয়াচ হিস্ট্রি’ খেয়াল রাখুন। সন্তান মোবাইল নিয়ে ইউটিউবে কী সার্চ করছে, কোন ধরনের ভিডিও দেখছে, তা লক্ষ রাখুন। ইউটিউবে কোনো অ্যাকাউন্ট দিয়ে কী কী ভিডিও দেখা হল, তার একটি তালিকা ওয়াচ হিস্ট্রিতে সংরক্ষিত থাকে। সেটি নিয়মিত খেয়াল রাখলেই বুঝতে পারবেন।
২. ইউটিউব খুলে সেটিংসে যান। সেখানে ‘জেনারেল’ অপশনটিতে ক্লিক করুন। এখানেই রয়েছে ‘রেস্ট্রিকটেড মোড’। সন্তানের হাতের নাগাল থেকে প্রাপ্তমনস্কদের ভিডিও দূরে রাখতে এই মোড চালু করে দিন। তারপর থেকে ইউটিউবে আর এমন কোনো ভিডিও দেখা যাবে না, যা তাদের উপযোগী নয়।
৩. যে ধরনের ভিডিও বা শর্টস শিশুকে দেখাতে চান না, সেগুলোকে ‘নট ইন্টারেস্টেড’ হিসেবে চিহ্নিত করে রাখুন। কয়েকটি এমন ভিডিও চিহ্নিত করতে পারলে ইউটিউবের অ্যালগরিদম বুঝে যাবে, কোন ধরনের ভিডিও আপনি দেখতে চাইছেন না। সেগুলি আসা বন্ধ হয়ে যাবে।
৪. ‘ইউটিউব কিডস’ সেট করে রাখুন। মূলত শিশুদের উপযোগী ভিডিওই আসে সেই প্ল্যাটফর্মে। পড়াশোনা সংক্রান্ত অনেক ভিডিও থাকে সেখানে। সেগুলি দেখান শিশুকে।
৫. শিশু যখন ইউটিউব খুলবে, আপনিও পাশে বসে নজর রাখুন। কী ধরনের ভিডিও দেখা তার পক্ষে উপযোগী, তা শিখিয়ে দিন। সেই নিয়ে আলোচনাও করুন। তা হলে শিশু পরবর্তী সময়ে ইউটিউবে সেই ধরনের ভিডিওই খুঁজবে।
৬. শিশুর থেকে সব কিছু আড়াল করতে যাবেন না। তা হলে তাদের কৌতূহল আরও বাড়বে। ইউটিউবে কোন ধরনের ভিডিও বা শর্টস ক্ষতিকর, সেগুলি শিশুকে বোঝান। খারাপ দিকটি নিয়ে আলোচনা করুন। খারাপ আর ভালর তফাত বুঝতে পারলেই তাদের আর অহেতুক কৌতূহল তৈরি হবে না।