আহসানউল্লাহ মাস্টারের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
গাজীপুরের সংসদ সদস্য ও শ্রমিক নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টারের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
আহসানউল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে গাজীপুর শহরের পুবাইলের হায়দরাবাদে তাঁর সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে স্থানীয় প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আয়োজন করা হয় কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ, কালো ব্যাজ ধারণ, আলোচনা ও স্মরণ সভা।
বিকেলে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছেলে আলহাজ মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে আহসানউল্লাহ মাস্টারের হত্যার বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।
এ ছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও এলাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
সভায় আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছেলে ও গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল মামলার রায় কার্যকরের দাবি জানান।
এদিকে সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মান্নানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মরহুমের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
২০০৪ সালের ৭ মে শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারকে টঙ্গীতে তাঁর বাসভবন সংলগ্ন স্কুল মাঠে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক জনসভা মঞ্চে প্রকাশ্যে দিনদুপুরে সন্ত্রাসীরা ব্রাশফায়ারে তাঁকে হত্যা করে। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে প্রধান আসামি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অপর ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে প্রধান আসামিসহ ১৭ জন বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছে। বাকি ১১ জন আসামি ভারত, ইতালি, বেলজিয়াম, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।