দুই বাঘাইড় মাছের দাম ৩ লাখ টাকা!
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল মাছের মেলায় দুটি বাঘাইড় মাছের দাম হাঁকা হয়েছে ৩ লাখ টাকা। প্রতিটা মাছের ওজন ৩২ থেকে ৩৫ কেজি। আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে মেলা পরিদর্শনকালে বিক্রেতা মুদ্দত আলী ও ইমরান মিয়ার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের বাসিন্দা ইমরান মিয়া বলেন, নদী থেকে শিকারের পর তিনি একটি বাঘাইড় মাছ ক্রয় করে মেলায় নিয়ে আসেন। বিশাল এ মাছটির দাম চেয়েছেন দেড় লাখ টাকা। ক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষি হচ্ছে। কিছু লাভ পেলে মাছটি বিক্রি করে দিবেন। তবে ক্রেতার চেয়ে মাছটি দেখার জন্য বেশি লোক আসছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইমরান মিয়ার পাশের আরেক বিক্রেতা হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মুদ্দত আলী বলেন, মেঘনা নদী থেকে শিকার হওয়া প্রায় ৩০ কেজি ওজনের আরেকটি বাঘাউড় মাছ বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। মাছটির দাম চেয়েছেন দেড় লাখ টাকা।
মাছটি দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, পইল মেলার আকর্ষণ হলো বাঘাইড় মাছ। যাইহোক মাছটি দেখতে পেরে আমরা আনন্দিত। মাঝেমধ্যে ক্রেতারাও দুটি বাঘাইড় মাছ কিনতে আসছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে আগামী বুধবার সকাল পর্যন্ত।
মেলায় আগত কয়েকজন বলেন পৌষ সংক্রান্তিতে এ মেলা দুই শতাধিক বছর ধরে চলে আসছে। মেলার প্রধান আকর্ষণ মিঠা পানির বাঘাইড় মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এখানে দেখা মেলে বিলুপ্তপ্রায় অনেক প্রজাতির মাছের। বাঘাইড় ছাড়াও মেলায় বিশালাকৃতির বোয়াল ও কাতল মাছের দেখা মিলেছে। এসব মাছ দেখতে ভিড় করেন মেলায় আসা নারী, পুরুষ ও শিশুরা।
জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সুমন বলেন, প্রতি বছর পহেলা মাঘ এখানে মাছের মেলা বসে। মেলায় আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা ও মাছ বিক্রেতারা আসেন। এ মেলাকে কেন্দ্র করে একটি উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। মেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। প্রতি বছর মেলায় কয়েক কোটি টাকার মাছ বিক্রি করা হয়ে থাকে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, পইল মেলার ঐতিহ্য রয়েছে। মেলায় পুলিশের মাধ্যমে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে মেলা চলছে।