তিন সাঁওতালের হাতকড়া খুলে দিতে নির্দেশ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে হামলায় আহত সাঁওতাল সম্প্রদায়ের তিনজনকে হাতকড়া খুলে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার দুপুরে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
এর আগে সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ বিষয়ে রিট আবেদন করলে আদালত এ নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় সাংবাদিকদের জানান, আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে হাতকড়া খুলে দিয়ে রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও গাইবান্ধার পুলিশ সুপারকে (এসপি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে হাতকড়া পরানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত। এ সময়ের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি ও গাইবান্ধার এসপিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার জাতীয় একটি দৈনিকে তিন সাঁওতালকে হাতকড়া পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এ ধরনের একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদটি সংযুক্ত করে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ রিট আবেদনটি করেন। ওই তিন সাঁওতাল হলেন বিমল কিস্কু, ডিজেন টুডু ও চরন সরেন।
এর আগে সকালে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বলেছিলেন, ‘কোনো আসামিকে চিকিৎসা দিতে হলেও হাতকড়া পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। তাদের হাতকড়া খুলে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়েই এ রিট আবেদন করা হয়েছে।’
গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ আখ খামারের জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সেখানে বাস করা প্রায় আড়াই হাজার সাঁওতাল বসতি পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় বাঙালি-পুলিশ ও সাঁতালদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন সাঁওতাল আহত হন। মামলা করা হয় শতাধিক সাঁওতালের ব্যক্তির নামে। এ ঘটনায় আহত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের হাতকড়া ও কোমরে দড়ি বেঁধে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।