জাতীয় কবিতা উৎসব ১-২ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘৩১তম জাতীয় কবিতা উৎসব’। জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত উৎসবের এবারের স্লোগান- ‘বর্বরতা মানে না কবিতা’।
১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন কবি বেলাল চৌধুরী।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসটির দোতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক পরিষদের সভাপতি কবি ড. মোহাম্মদ সামাদ এসব তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত।
উৎসবের নানা দিক নিয়ে আরো বক্তৃতা করেন উৎসব আহ্বায়ক কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন, কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, কবি ও সংসদ সদস্য কাজী রোজী, কবি সাযযাদ কাদির, কবি হালিম আজাদ, কবি আসলাম সানী, কবি দিলারা হাফিজ ও কবি হারিসুল হক।
কবি মোহাম্মদ সামাদ জানান, মানবের অপমানের বিরুদ্ধে এবার আন্তর্জাতিক ও দেশীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে উৎসবের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের ৬৪টি জেলার কবিরা উৎসবে উপস্থিত থেকে তাঁদের নিজ নিজ কবিতা আবৃত্তি করতে পারবেন। এ জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগ্রহী কবিদের বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টিএসসির দোতলায় এসে নাম নিবন্ধন ও যে কবিতা আবৃত্তি করবেন তার কপি জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি আরো বলেন, এবারের উৎসবে ভারত, চীন, সুইডেনসহ ১৫টি দেশের কবিদের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্যবারের মতো এবারও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ও বিভিন্ন ভাষার কবি উৎসবে আসবেন।
কবি ড. মোহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘১ ফেব্রুয়ারি কবিতা উৎসবের পাশাপাশি বাংলা একাডেমিতে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’র উদ্বোধন হবে। গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে একাডেমি চারদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করবে। ওই উৎসবের কবি-সাহিত্যিকরা আমাদের এ কবিতা উৎসবে শামিল হবেন। ওই সময় রাজধানীতে আন্তর্জাতিক কত্থক উৎসবও শুরু হবে। ওই উৎসবের গুণীজনেরাও আমাদের কবিতা উৎসবে আসবেন।’
এসব আন্তর্জাতিক উৎসবকে মাথায় রেখেই কবিতা পরিষদ শিডিউল তৈরি করছে বলে জানান আয়োজকরা।
উৎসবের আহ্বায়ক কবি রবিউল হুসাইন বলেন, যতদিন মানুষের ওপর অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচার থাকবে, ততদিন কবিতা উৎসবও থাকবে।
ব্যক্তি, দেশ ও জাতির ওপর বর্বরতা হয়েছে, আর কবিতা প্রতিবাদ করেনি, তা কখনো ঘটেনি। এখন যেভাবে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা অন্যায় ও অবিচার হচ্ছে এবং জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে গেছে, তার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধেই এ কবিতা উৎসব। আর এ কারণে এ উৎসব যেন বিশ্ব কবিতা উৎসব হিসেবে পরিচিতি লাভ করে, কবি রবিউল হুসাইন সে আশাবাদও ব্যক্ত করেন।
কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, মানুষের মঙ্গলের জন্যই কবিতা। তাই ৩০ বছর ধরে মানুষের মঙ্গলের জন্য, তাদের অধিকার আদায়ে জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে কবিরা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, রাজাকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে আছেন।
কবি হালিম আজাদ বলেন, কবিরা স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বাতিঘরের মতো কাজ করছেন। স্বৈরাচার ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে তাঁরা কখনো মাথা নত করেনি, বরং সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে।