‘ফসলহারা মানুষ বাঁচার তাগিদে এলাকা ছাড়ছে’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘হাওরের মানুষ আগে থেকেই এই দুর্যোগের আভাস দিচ্ছিল। কিন্তু সরকার সেটি আমলে নেয়নি। এখন দুর্যোগের পর চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। ফসলহারা মানুষ বাঁচার তাগিদে এলাকা ছাড়ছে।’
হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে এসে আজ রোববার রাতে সুনামগঞ্জ পৌর শহরে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ওই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘হাওরের মানুষের ঘরে খাবার নাই। কাজ নাই।’ তিনি বলেন, ‘এখনো দুর্যোগের প্রাথমিক পর্যায় চলছে। এক মাস পরে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেবে। এই মানুষদের বাঁচাতে আগামী এক বছরের পরিকল্পনা করতে হবে। হাওর এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সবার জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, ‘হাওর এলাকার চলমান দুর্যোগে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে সরকার। হাওরের বিপন্ন মানুষের প্রতি সরকার উদাসীন। এখন ত্রাণ বিতরণের নামে হাওর এলাকায় প্রহসন চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধেক মানুষও ত্রাণ পাচ্ছে না। ত্রাণ নিয়ে দলীয়করণ, কারচুপি, দুর্নীতি হচ্ছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।’
‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের আহ্বায়ক বজলুল মজিদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা উজ্জ্বল রায়, মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক এনাম আহমদ প্রমুখ।