সৌদিতে অবৈধ প্রবাসীদের ক্ষমার মেয়াদ শেষ আজ
সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফিরতে সরকারের বেঁধে দেওয়া সাধারণ ক্ষমার সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ রোববার।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের উপপ্রধান নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিন মাসের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ ঈদের দিন শেষ হচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সৌদি আরব সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় অবৈধ বাংলাদেশিদের দেশে ফিরতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, তা ২৫ জুন শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে যাঁরা রেজিস্ট্রেশন করবেন, পরবর্তী দুই মাসে ঈদের পর থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।’
যাঁরা এর মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহে ব্যর্থ হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ২৫ জুনের পর থেকে সৌদি সরকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান নজরুল ইসলাম।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আউটপাস ও এক্সিট ভিসা সংগ্রহ করে দেশে ফেরত না গেলে অবৈধদের শাস্তি অপরাধভেদে সর্বোচ্চ এক লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা ও দুই বছর কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে।
সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এক মাসে সাধারণ ক্ষমার আওতায় রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দা কনস্যুলেট থেকে মোট ১২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি দেশে ফিরতে ‘আউট পাস’ নিয়েছিলেন।
অনুমতি ছাড়াই কাজ করা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে ২৯ মার্চ থেকে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেয় মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি।
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) সারওয়ার আলম বলেন, ‘২৫ জুনের পরে সাধারণ ক্ষমার আওতায় কেউ এক্সিট ভিসা পাবেন না। তবে যাঁরা এরই মধ্যে ফাইনাল এক্সিট ভিসা পেয়েছেন, তাঁরা ওই ভিসায় উল্লেখিত তারিখের মধ্যে দেশে ফিরতে পারবেন।’
এদিকে, সাধারণ ক্ষমার এ মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে সৌদি অভিবাসন অধিদপ্তর।
সৌদি ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল সুলাইমান আল ইয়াহইয়া বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ বাড়ানো হবে না। তবে ঈদের ছুটিতেও জাওয়াজাত (পাসপোর্ট অধিদপ্তর) কাজ করবে।’
সৌদি দৈনিক আল মদিনা জানিয়েছে, ২০ রমজান পর্যন্ত সৌদি সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার আওতায় বিভিন্ন দেশের পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ২৩৫ জনকে এক্সিট ভিসা দেওয়া হয়েছে। আর এ পর্যন্ত এক লাখের বেশি বিদেশি নাগরিক এ সুযোগ নিয়ে সৌদি আরব ত্যাগ করেছেন।
এ বিষয়ে সরকারের ১৯টি এজেন্সি একযোগে কাজ করছে বলে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল মনসুর আল তুর্কি সে দেশের পত্রিকাগুলোকে জানিয়েছেন।