ঢাকা পদাতিকের ৫৭তম প্রযোজনা ‘পাইচো চোরের কিচ্ছা’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে আগামী মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে ঢাকা পদাতিকের নিয়মিত প্রযোজনা ‘পাইচো চোরের কিচ্ছার’ ৫৭তম প্রর্দশনী।
ঢাকা পদাতিকের আলোচিত প্রযোজনা পাইচো চোরের কিচ্ছা। হাস্যরসাত্মক লোকনাটকটি খুলনা অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে নাট্যরূপ দিয়েছেন কাজী চপল। লোকজ এ নাটকটি দেশীয় ঢঙে গল্পের ভঙ্গিতে মঞ্চে উপস্থাপন করছেন কুশীলবরা। যার মাধ্যমে উঠে এসেছে রূপকথার গল্পের মতো পাইচো চোরের নানা কর্মকাণ্ড। জীবনের এক গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে নাটকের কাহিনীতে। বিজয় সরকার, আলেক মাতুব্বর, মোসলেম বয়াতিসহ খুলনা এলাকার অসংখ্য লোককবি ভাটিয়ালি সুরে যে ভাব, রস মনে গ্রথিত করেছেন, তা এই নাটকের মূল উপাদান হিসেবে কাজ করছে। গানের মাধ্যমে নাটকের মূল বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে বলেও জানান নির্দেশক।
নাটকের পটভূমি খুলনা অঞ্চলের লোক সংস্কৃতিকে বেছে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে কাজী চপল বলেন, ‘আমার বাড়ি খুলনায়। আমি খুলনা অঞ্চলের লোকগান, নাটক দেখেই বড় হয়েছি। ঢাকায় আসার পর দেখলাম বাংলার লোকসংস্কৃতিকেন্দ্রিক কিছু নাটক নির্মিত হলেও খুলনা অঞ্চলের লোকসংস্কৃতি সেখানে অনুপস্থিত। কারণ ফোক ঘরানার বেশির ভাগ নাটকই তখন নির্মিত হচ্ছিল মৈমনসিংহ গীতিকা নিয়ে। অথচ খুলনা অঞ্চলে রয়েছে লোকসংস্কৃতির বিশাল এক ভাণ্ডার। তখন আমি এই নাটকটি করার সিদ্ধান্ত নিই। মূলত এই নাটকের মাধ্যমে খুলনা অঞ্চলের তথা বাংলার শিকড়ের সংস্কৃতিকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছি।
নাটকটি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে কাজী চপল বলেন, ‘নাটকটিতে খুলনা অঞ্চলের লোকসংস্কৃতির মাধ্যমে বাংলার শিকড়ের সংস্কৃতিকেই তুলে ধরতে চেয়েছি। যাতে নতুন প্রজন্ম বাংলার এই শিকড়ের সংস্কৃতি ভুলে না যায়। আমি এই নাটকটি মঞ্চায়নের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাংলার এই শিকড়ের সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করতে চাই।
পাইচো চোরের কিচ্ছা নাটকের ৫৭তম প্রদর্শনীতে অভিনয় করবেন- কাজী শিলা, শ্যামল হাসান, মাসুদ আহমেদ, জাকারিয়া কিরণ, সালাউদ্দিন রাহাত, কাজী সম্রাট, দেবাশীষ বড়ুয়া, রিয়াজ আহমেদ, তন্দ্রা, তন্বি, সুমন ঘোষ, নিপা, কবির, সজল, আল আমিন, সামিউল, ইকরা, আসিফ, কাওসার, সেতু, ঐশী ও সিরাজ।
২০১০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রথম মঞ্চস্থ হয় ঢাকা পদাতিকের এই নাটক।