কিছু রোহিঙ্গাকে নেওয়ার প্রস্তাব মিয়ানমারের কৌশল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সেনাবাহিনী ও দোসরদের নির্যাতনের মুখে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কিছু রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে মিয়ানমার যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি আন্তর্জাতিক চাপ এড়ানোর কৌশল বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রমনায় একটি মিলনায়তনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৩০টি পুলিশ ও একটি সেনাচৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হয় সেনা অভিযান। এর পর থেকে নির্বিচারে হত্যা করা হয় রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষদের। কথিত এই অভিযানে চার শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। যদিও রোহিঙ্গারা এই সংখ্যাটাকে বলছে হাজারের বেশি।
কথিত এই অভিযানের পর থেকে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এতে চরম মানবিক সংকট শুরু হয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজারের সংকীর্ণ ক্যাম্পগুলোতে। এমন বাস্তবতায় বিশ্ব শক্তিগুলোর চাপে কিছুটা নতজানু হয়ে অল্প কিছু রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি হয়েছে শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন জান্তাপ্রভাবিত মিয়ানমার সরকার। তবে সেটিকে নিছক দায় এড়ানোর কৌশল হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ।
‘রোহিঙ্গাদের আংশিক ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও চাপ প্রশমিত করার কৌশল হতে পারে। মিয়ানমার নিজস্ব যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য প্রত্যাবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা সীমিত করার ও নানা অজুহাতে কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন বিলম্বিত করতে পারে’, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।