সৎ ছেলের পিটুনিতে আহত বাবার মৃত্যু
পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মেহেরপুরে ইরফান আলী (৫৬) নামের একজন নিহত হয়েছেন। সৎ ছেলে ও শ্যালকসহ বেশ কয়েকজন পিটিয়ে তাঁকে হত্যা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ রোববার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইরফান মারা যায়। নিহত ইরফান সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মৃত ফয়জুদ্দীন ভজার ছেলে।
গত ২৪ জুন রাতে ইরফান আলীকে পিটিয়ে জখম করে তাঁর সৎ ছেলে তাজিমুল (২৬) ও শ্যালক ইলাদ হোসেনসহ (৪৬) বেশ কয়েকজন।
নিহতের স্ত্রী রহিমা খাতুন জানান, ২৪ জুন বিকেলে তাঁর আগের পক্ষের ছেলে তাজিমুল তাঁর বাবার দেওয়া দুই কাঠা জমি বিক্রি করে বিদেশ যাওয়ার টাকা চায়। এ নিয়ে ইরফান হোসেনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তাজিমুলের। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে চলে যায় সে। সন্ধ্যায় সে ও তাঁর মামা, ইরফানকে ডেকে নিয়ে যায় সদর উপজেলার বারাকপুর গ্রামের বাড়িতে। সেখানে রড, লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে জখম করে।
পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মারা যান ইরফান।
এদিকে ইরফানের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ মানববন্ধন করে যাদবপুরের লোকজন ও স্বজনরা। মানববন্ধনের সময় অ্যাম্বুলেন্সে করে ইরফানের লাশ আনা হলে সেখানে কান্নার রোল ওঠে। আহাজারি করতে থাকে স্বজনরা।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন রাতেই নিহতের বড় ছেলে আরিফুল চারজনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।