সুনামগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
সুনামগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার্থী স্কুলছাত্রী হুমায়রা আক্তার মুন্নীকে হত্যার দায়ে মো. এহিয়া সরদার নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলা দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এ রায় ঘোষণা করেন। আসামি এহিয়া এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার অন্য আসামি তানভীর আহমদ চৌধুরীকে খালাস দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত এহিয়া দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের সাকিতপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দিরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী নিহত হুমায়রা উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের নদগীপুর গ্রামের বাসিন্দা ইটালিপ্রবাসী হিফজুর রহমানে মেয়ে।। মা রাহেলা বেগম ও একমাত্র ভাইয়ের সঙ্গে সে পৌর শহরের মাদানী মহল্লায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে তাকে উত্ত্যক্ত করত বখাটে এহিয়া। কিন্তু হুমায়রা কখনোই তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
এরই একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় গিয়ে পড়ার টেবিলে হুমায়রাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় এহিয়া। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে হুমায়রার মৃত্যু হয়।
ঘটনার দুই দিন পর হুমায়রার মা বাদী হয়ে এহিয়া ও তার বন্ধু মাদানী মহল্লার তানভীরকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই তানভীরকে ও পরের দিন সিলেটের মাসুক বাজার এলাকা থেকে এহিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি এহিয়া সরদারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তিন কার্যদিবসে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় দেওয়া হলো বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিন।
মুন্নির মা রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে দ্রুত এটি কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি রায়ে সন্তুষ্ট। রায়টা যেন তাড়াতাড়ি কার্যকর হয় সরকারের কাছে আমার এই দাবি রইল।’