পাসপোর্ট করতে এসে দালালসহ ২ রোহিঙ্গা আটক
সুনামগঞ্জে পাসপোর্ট করতে এসে দুই রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। এর মধ্যে এক নারী আছেন। তাঁরা টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে স্থানীয় চার ব্যক্তির সহযোগিতায় সুনামগঞ্জে আসেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে দুজনকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে তাদের সহযোগী হিসেবে আটক হয়েছেন সুনামগঞ্জে চার ব্যক্তি।
আটকরা হলেন রোহিঙ্গা মো. আবদুল হালিম (২৪) ও রিয়াজুল জান্নাত (১৮)। এ দুজন টেকনাফের উখিয়ায় পৃথক দুটি ক্যাম্পে ছিলেন। ২০১৭ সালে তাঁরা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসেন।
সুনামগঞ্জের আটক চার ব্যক্তি হলেন জামালগঞ্জ উপজেলার সুজাতনগর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন (২৪) ও আমির উদ্দিন (৩০), তেরাবগড় গ্রামের ফরহাদ আহমেদ (৩৫) ও রামনগর গ্রামের নুর হোসেন (২৩)।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকালে দুই রোহিঙ্গা সুনামগঞ্জে আসেন। তাঁদের সহযোগিতা করেন সুনামগঞ্জের আটক ব্যক্তিরা। এরপর তাঁরা পাসপোর্ট করতে জেলা পাসপোর্ট কার্যালয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। সব কাজে সুনামগঞ্জের চার ব্যক্তি তাঁদের সহযোগিতা করেন।
বিকেলে আবার ছবি ও আঙুলের চাপ দিতে গেলে পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে দুই রোহিঙ্গাসহ ছয়জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, দুই রোহিঙ্গা সুনামগঞ্জের চার ব্যক্তির সহযোগিতায় বাংলাদেশি পাসপোর্ট করতে এখানে এসেছিলেন। পরে জেলা পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহযোগিতায় চার দালালসহ তাঁদের আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার আটকদের আদালতে হাজির করা হবে।
সদর মডেল থানায় অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়াতুন্নবী, সহকারী পুলিশ সুপার কানন কুমার দেবনাথ, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ, জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ওসি কাজী মুক্তাদীর হোসেন, বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল লতিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।