সুনামগঞ্জে ভেজালবিরোধী অভিযানে ব্যবসায়ীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ফলবাজারে বুধবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভেজালবিরোধী অভিযানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় জব্দ করা ‘মেয়াদোত্তীর্ণ ও পচা’ খেজুর ফেরত দিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রশাসন ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পৌর শহরের ফল বাজারে ভেজালবিরোধী অভিযান চালান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দের নির্দেশে তখন মেয়াদোত্তীর্ণ ও পচা বেশ কিছু খেজুর জব্দ করা হয়। এ সময় ভেজাল পণ্য বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। পরে আরো পচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর এক জায়গায় লুকানো আছে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের লোকজন সেখানে যান। এর ফাঁকে ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে জব্দ করা খেজুর ফিরিয়ে দিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বলেন। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত সেগুলো ফেরত না দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের গাড়ির সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের লোকজন জব্দ করা খেজুর নিয়ে সেখান থেকে চলে যান।
সুনামগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বলেছেন, ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, তাদের খেজুর ভালো এবং মেয়াদও রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় এ নিয়ে কিছুক্ষণ হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছিল। পরে আমরা সবাইকে সরিয়ে ভ্রাম্যামাণ আদালতের লোকজনকে নির্বিঘ্নে সেখান থেকে যেতে দিয়েছি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল চন্দ জানান, পবিত্র রমজান মাসে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবেই বুধবার বিকেলে শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এ সময় ফল বাজার থেকে বেশ কিছু পচা খেজুর জব্দ করা হয়, যেগুলো কমপক্ষে দুই বছর আগের। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এই পচা খেজুরকে ভালো বলে দাবি করেন এবং সেগুলো ফেরত দেওয়ার দাবি জানান। আমরা এগুলো ফেরত দিইনি। পরে সেগুলো নিয়ে আসা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, ভ্রাম্যমান আদালতের ভেজালবিরোধী অভিযানের সময় ব্যবসায়ীরা হট্টগোল করার চেষ্টা করেন। আমরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।
জানতে চাইলে সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, ব্যবসায়ীরা পচা পণ্য বিক্রির চেষ্টা করে অপরাধ করেছেন। ম্যাজিস্ট্রেট এগুলো জব্দ করেছেন। এরপর কিছু ব্যবসায়ী সংগঠিত হয়ে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। যারা এটা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জব্দ করা পণ্য ধ্বংস করা হবে।