জাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে জালিয়াতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জালিয়াতি করে ‘ভুয়া সনদ’ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তির ঘটনায় চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নূরুন্নাহারকে প্রধান এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) রহিমা কানিজকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহালি এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহেদুর রশিদ।
সকালে মোহাম্মদ আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। যত দ্রুত সম্ভব কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হন এক শিক্ষার্থী। গত ৭ এপ্রিল এ বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে স্বীকার করেন এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রিয়াজুল ইসলাম শোভন ও আলিফা আহমেদ।
শোভন ও আলিফা ঘটনার দায় স্বীকার করে জানান, তাঁরা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত তবে সনদ জালিয়াতিসহ ভর্তির মূল কাজটুকু করেন তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শাখার ঊর্ধ্বতন সহকারী বিল্লাল হোসেন (বর্তমানে এস্টেট শাখায় বদলি)। ভর্তির বিনিময়ে তিনি ভর্তীচ্ছুক ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নগদ তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং প্রায় নয় হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের একটি স্যামসাং গ্যালাক্সি স্মার্টফোন হাতিয়ে নেন।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার ১৪ দিন পর তদন্ত কমিটি গঠন করল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।