ব্রেকআপের পর যে বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন
ব্রেকআপ! এটি কোনো সহজ বিষয় নয়, বরং পুরো ঘটনাটিই কষ্টদায়ক। কিন্তু আপনার ব্রেকআপ হয়েছে এর মানে এই নয় যে আপনার জীবনের সব ভালো অধ্যায় এখানেই শেষ। হয়তো একা একা এমনটাই ভাবছেন আপনি কিংবা ঢাক পিটিয়ে নিজের ব্রেকআপের কথা সবাইকে শুনিয়ে বেড়াচ্ছেন। এটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। এই সময়টাতে নিজেকে কিছু কিছু বিষয়ে সংযত রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই ব্রেকআপের পর কিছু ছোট বিষয় এড়িয়ে চলুন, যা আপনার কষ্টের মুহূর্তকে ভুলে থাকতে সাহায্য করবে।
ব্রেকআপের পর যে বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন তার কিছু দিক তুলে ধরা হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায়। চলুন, এক নজরে দেখে নিই কোন বিষয়গুলো জানা আপনার জন্য জরুরি-
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্রেকআপের কথা ছড়ানো
আপনার ব্রেকআপ হয়েছে আর হয়তো তা জানানোর একমাত্র মাধ্যম হিসেবে আপনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকেই বেছে নিলেন। আপনি যদি মনে করেন আপনার আগের প্রেমিক/ প্রেমিকার নজরে থাকার জন্য এসব কিছু করেছেন, তাহলে আপনার জীবনের এটাই চরম ভুল সিদ্ধান্ত হবে। কারণ এর ফলে খুব সহজেই সমাজিকভাবেই কথাটি ছড়িয়ে যাবে। এমনকি হতে পারে আপনার প্রেমিক/ প্রেমিকা আপনার এসব বিষয় দেখেও না দেখার মতো আচরণ করছে নয়তো আপনাকে আনফ্রেন্ড অথবা ব্লকই করে দেবে। তাই ব্রেকআপের কথাটি ফেসবুক বা টুইটারে না জানানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
সবার কাছে ব্রেকআপের কথা বলা
সব সময় মনে রাখবেন, এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়গুলো কাছের মানুষ ছাড়া অন্য কারো কাছে বলার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ সবাই আপনার মনের কষ্ট অনুভব করবে না। বরং এটা নিয়ে অন্যেরা আড়ালে বিভিন্ন ধরনের কথাও ছড়াতে পারে। তাই যারা আপনার কষ্ট বুঝবে এবং আপনাকে সঠিক উপদেশ দিতে পারবে তাদের কাছেই বিষয়টি বলতে পারেন।
সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখার চেষ্টা
কিছু সময়ের জন্য আপনি নিজে নিজে চিন্তা করুন যে আজ আপনারা আলাদা, এর পেছনে বড় কিছু কারণ ছিল কী? যদি সবকিছু ভুলে আপনি তার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখতে চান তাহলে কখনোই আপনি তার সাথে সম্পর্কের কথা ভুলতে পারবেন না। এমনকি একটা সময় যখন আপনার সাবেক সঙ্গী অন্য কাউকে নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে শুরু করবে তখন সেই বিষয়গুলো আপনার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই ব্রেকআপের পর নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখুন।
অযথা ফোন বা এসএমএস করা
ব্রেকআপ হয়েছে অনেক দিন হয়ে গেছে। অথচ আজ খুব মনে পড়ছে তার কথা। এমনটা হতেই পারে। তার মানে এই নয় যে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ফোন করতে হবে অথবা এসএমএসই করে বসলেন। এতে সে বিরক্ত হতে পারে। এমনকি আপনার সঙ্গে খারাপ আচরণও করতে পারে। যা নতুন করে আপনার মধ্যে কষ্ট অথবা রাগ সৃষ্টি করবে। তাই এ ধরনের আচরণ না করাই ভালো।
আগের ছবি অথবা এসএমএস সযত্নে রাখা
যে জিনিসগুলো আপনাদের ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দেয় সেগুলো নিজের কাছে না রাখাই ভালো। পুরোনো ছবি অথবা এসএমএস ডিলিট করে ফেলুন আজই। এগুলো নিজের কাছে রেখে অযথা কষ্ট পাওয়ার কোনো মানে নেই। পেছনের স্মৃতি ভুলে নতুন করে জীবন সাজানোর চেষ্টা করুন।