চার ফোঁটা অশ্রুতে ভাব বিনিময়
গত দুই মাসের বেশি সময় দেশের গণমাধ্যমগুলোতে একজনের নিষ্প্রভ চেহারা দেখা গেছে নিয়মিতই। তিনি হাসিনা আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী।
কখনো সরকারের কাছে, কখনো বা জনগণের কাছে স্বামীকে উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়েছেন। কথা বলতে বলতে আবেগাপ্লুত হয়েছেন। কেঁদেছেন নীরবে। গতকাল সোমবার রাতে আবারো কাঁদলেন। তবে এ কান্না কষ্টের নয়। দীর্ঘ দুই মাস ঝড়ের পর স্বস্তির বৃষ্টি হয়ে ঝরল অশ্রু। তা দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি সালাহ উদ্দিনও। দুজনই কেঁদেছেন অঝোরে।urgentPhoto
বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানান, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং সিভিল হাসপাতালে সালাহ উদ্দিনের দেখা পেতে হাসিনা আহমেদকে যেতে হয়েছে আটক ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত সেলে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রাত প্রায় ৮টার দিকে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। এ সময় দুজনই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এর কিছু সময় পর হাসিনা আহমেদ স্বামীর স্বাস্থ্যের খবর নেন। দুজন কথা বলেন ভারত থেকে ফেরার আইনানুগ বিষয়াদি নিয়ে।
আবদুল লতিফ জনি আরো জানান, শিলংয়ে পৌঁছে হাসিনা আহমেদ সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে পুলিশের অনুমতি নেন। সালাহ উদ্দিন কীভাবে এবং কখন নিখোঁজ হন, এ ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশকে অবহিত করেন তিনি। পুলিশের অনুমতি পেয়ে সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন এবং কথা বলেন। ওই কথোপকথন ছিল প্রায় ৩০ মিনিটের।
গত ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরার এক বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন। দুই মাস পর ১১ মে মেঘালয়ের শিলংয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে পাওয়া যায়। পরে তাঁকে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকায় উদভ্রান্তের মতো তিনি হাঁটাহাঁটি করছিলেন বলে পুলিশ জানায়।
বৈধ কাগজ ছাড়া ভারতে প্রবেশ করায় ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিনকে আটক করে মেঘালয় পুলিশ। বর্তমানে পুলিশি পাহারায় শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
১২ মে সালাহ উদ্দিন আহমেদ শিলংয়ের মেঘালয় ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোলজিক্যাল সায়েন্স (এমআইএমএইচএএনএস) থেকে ফোন করে হাসিনা আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁকে শিলং যেতে বলেন। এর পরদিনই ভিসার জন্য ভারতীয় হাইকমিশনে আবেদন করেন হাসিনা আহমেদ। গত রোববার সন্ধ্যায় তিনি ভিসা পান।