টোল স্থগিতের আশ্বাসে ঢাকা-মাওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার
ঢাকা-মাওয়া পথে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাত দিনের জন্য শিমুলিয়া ঘাটে টোল আদায় বন্ধ রাখা এবং পরে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে- এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন এ পথের বাস-মালিকরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুস খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই পথে আবার বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
ঢাকা-মাওয়া সড়কের শিমুলিয়া ঘাটে বাসপ্রতি ৪০ টাকা টোল আদায় করার প্রতিবাদে আজ রোববার সকালে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। পরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাত দিন টোল আদায় বন্ধ এবং নৌমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দিলে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন এই পথে চলাচল করা ১২টি পরিবহনের বাস-মালিকরা।
এদিকে সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। কেউ রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, বেবিট্যাক্সিতে বেশি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করেন।
এর আগে সকালে মাওয়া বাস মালিক কল্যাণ সমিতির নেতা বুলেট মিয়া অভিযোগ করেন, ঢাকা-মাওয়া পথে টোল আদায়ের কোনো নজির ছিল না। সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএ অবৈধভাবে শিমুলিয়া পার্কিং ইয়ার্ড ইজারা দিয়ে বাসের মালিকদের কাছ থেকে টোল আদায় শুরু করে।
এ ব্যাপারে শিমুলিয়া পার্কিং ইয়ার্ডের ইজারাদার লুৎফর রহমান তালুকদার বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএ ইজারা আহ্বান করলে দরপত্রের মাধ্যমে আমি ইজারাদার নির্বাচিত হই। এরপর থেকে সরকারের নির্ধারিত ৪০ টাকা হারে টোল আদায় শুরু করা হয়েছে। আগের ঘাটে বাস রাখার পর্যাপ্ত ইয়ার্ড ছিল না। মালিকরা ভাড়া করা জায়গায় বাস রাখতেন। বর্তমানে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে শিমুলিয়ায় নতুন ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। বৈধভাবে আমি ইজারা পেয়েছি। আমি না পেলে অন্য কেউ পেলে টোল আদায় করতেন। সরকারের রাজস্ব আদায়ে একটি পক্ষ অযথা ঝামেলার চেষ্টা করছে।’
এদিকে, বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়াঘাট বন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, সরকারের সব নিয়ম-কানুন মেনেই এ ঘাটের ইজারা আহ্বান করে বিআইডব্লিউটিএ। এটি অবশ্যই বৈধ ইজারা। আগের ঘাটগুলোতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে না পারায় টোল আদায় করেনি বিআইডব্লিউটিএ।