মুন্সীগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেপ্তার
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসায় আজ মঙ্গলবার প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনার পর ওই ছাত্রীর মা মাদ্রাসার এক শিক্ষককে জুতাপেটা করেন। পরে এলাকাবাসী এসে ওই শিক্ষককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
শিশুটি অসুস্থ হওয়ায় তাকে প্রথমে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মাদ্রাসা ছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়ে (৮) গ্রামের একটি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। আজ সকালে মেয়েটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যায়। সকাল ১০টার দিকে তিনি কাজ করে এসে দেখেন, মেয়ে ব্যথায় কাঁদছে। মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন, সকাল ৯টার দিকে মাদ্রাসার এক শিক্ষক তাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। এরপর তিনি শিক্ষকের কাছে গিয়ে ঘটনা জানতে চান এবং এবং জুতাপেটা করেন। তখন গ্রামের লোকজন এসে ওই শিক্ষককে আটক করে।
গ্রামের লোকজন জানায়, তারা খবর পেয়ে ওই শিক্ষককে মাদ্রাসার ভেতরে তালা মেরে থানায় খবর দেয়। দুপুর ১টার দিকে সিরাজদিখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম ও এসআই মো. আমিনুলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এসে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী শিক্ষককে উত্তম-মধ্যম দেয়।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হোসেন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মেয়েটির মা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।