দল ভাঙার আশঙ্কায় খালেদা জিয়া কোথাও যাচ্ছেন না : হানিফ
দল ভেঙে যাওয়ার ভয়েই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোথাও যাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। এ সময় তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করছে না। বরং বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারাই নেতৃত্বের প্রতি ক্ষুব্ধ।urgentPhoto
আজ শুক্রবার দুপুরে কুষ্টিয়ার নিজ বাড়িতে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ সময় সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সহসভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দল ভাঙার রাজনীতি করে না। দল ভাঙার রাজনীতি করে বিএনপি। জিয়াউর রহমান দলছুটদের নিয়ে দল গঠন করেন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারাই বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করেছেন। তাঁরাই একে অপরের সঙ্গে টেলিফোনে খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানকে বাদ না দিলে বিএনপি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।’
‘এটা মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসী দেখেছেন। এতে খালেদা জিয়া আতঙ্কিত। কারণ, তাঁর দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে অনাস্থা ব্যক্ত করেছেন, তাঁর নেতৃত্বের প্রতি যেভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন- এতে দল ভেঙে যেতে পারে এই আশঙ্কাতেই তিনি আর কোথাও যাচ্ছেন না।’
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন করা প্রসঙ্গে হানিফ আরো বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফ আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক। দল এবং মন্ত্রী দুটি ভিন্ন জিনিস। প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করছেন। ওনার নেতৃত্বে দেশ আজ নিম্ন আয় থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর দক্ষতা ও বিচক্ষণতার কারণেই দেশের আজ এ অগ্রগতি। উনিই জানেন কাকে কখন কোন দায়িত্ব দিয়ে কোন কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। সেই হিসেবে উনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি মনে করি না, এখানে দপ্তর বণ্টনের বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলার সুযোগ রয়েছে।’
মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন কার স্বার্থে করতে হবে, খালেদা জিয়ার কথা শুনে? খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া আর কিছুই করেননি। আর তাঁর কথা শুনে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হবে? মধ্যবর্তী নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কারণও নেই, প্রয়োজনও নেই। বাংলাদেশের জনগণ মধ্যবর্তী নির্বাচন চায় না। এটার কোনো প্রয়োজন নেই। নির্বাচন যথাসময়ে ২০১৯ সালেই হবে। সে জন্য সবাই প্রস্তুতি নিতে পারে।