কামরুল জেদ্দার থানাতেই, আনা হবে ইন্টারপোল দিয়ে
সিলেটে শিশু রাজন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কামরুল ইসলামকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর মোকাম্মেল হোসেন এ কথা জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে মোকাম্মেল বলেন, ‘যেহেতু তাঁকে (কামরুল ইসলাম) স্থানীয় থানায় সোপর্দ করা হয়েছে, সেহেতু ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাঁকে দেশে প্রেরণ করা হবে।’
কামরুল ইসলামকে বর্তমানে জেদ্দার হাইয়াল নাজলা থানায় রাখা হয়েছে।
মোকাম্মেল হোসেন জানান, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কামরুলকে দেশে ফেরত আনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী কামরুলকে দেশে আনার জন্য তাঁর মালিকের পক্ষ থেকে যে যে কাগজপত্র দরকার ছিল, তিনি সেগুলো দিয়েছেন বলেও জানান এ কনস্যুলেট কর্মকর্তা।
এর আগে সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ইন্টারপোলের মাধ্যমে কামরুলকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জেদ্দার বাংলাদেশি প্রবাসীদের আশ্বস্ত করেছেন।
গতকাল সোমবার (১৩ জুলাই) সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে আটক করা হয় কামরুল ইসলামকে। আটক করার পর কীভাবে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে জানান, তার ভিসা আগেই করা ছিল। তাঁর ফ্লাইটের আরো কিছুদিন বাকি ছিল। কিন্তু এ ঘটনার পর তিনি জেদ্দায় তাঁর মালিকের অসুবিধা হচ্ছে বলে সৌদি দূতাবাসকে জানান। পরে সৌদি দূতাবাস ১০ তারিখে তার ফ্লাইট এগিয়ে দেয়।
কামরুল হাসান দীর্ঘদিন ধরে সৌদিপ্রবাসী। তিনি সেখানে এক মালিকের গাড়ি চালাতেন।
গত ৮ জুলাই সকালে সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে (১৩)। এ সময় নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। লাশ গুম করার সময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করে সিলেট সদর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুহিত আলমকে। পরে মুহিতকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় মুহিত, তাঁর ভাই কামরুল ইসলাম, আলী হায়দার ও স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রাজনের বাবা।