সুনামগঞ্জে শিশু তুহিন হত্যায় পরিবারের লোকজন জড়িত : এসপি
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার শিশু তুহিনের হত্যার ঘটনায় তার পরিবারের সম্পৃক্ততা পেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দিরাই থানায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘শিশু তুহিন হত্যার ঘটনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শিশু তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা আবদুল মছব্বির, জমশেদ মিয়া, নাছির ও জাকিরুল, তুহিনের চাচি ও চাচাতো বোনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে পরিবারের তিন সদস্য হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বিস্তারিত জানার জন্য আমরা আরো জিজ্ঞাসাবাদ করব।’
নিহত শিশু তুহিনের বাবা এলাকার অন্য একটি হত্যা মামলাসহ কয়েকটি মামলার আসামি। মামলার কারণে তাদের পরিবারের লোকজন এমন কাজ করতে পারে বলে জানান পুলিশ সুপার।
দিরাই উপজেলায় তুহিন নামের পাঁচ বছরের এক শিশুকে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শিশুটির লিঙ্গ ও কান কেটে, পেটে ছুরি মেরে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে লাশ গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়। আজ সোমবার সকালে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামের বাসিন্দারা শিশু তুহিনের লাশ গাছে ঝুলতে দেখে পুলিশের খবর দেয়। নিহত তুহিন গ্রামের আবদুল বাছিরের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষ হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড এর আগে কেউ দেখেনি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানায়, গতকাল রোববার রাতে কেজাউড়া গ্রামের আবদুল বাছিরের পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। পরে আজ সোমবার সকালে স্থানীয়রা ঘুম থেকে উঠে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত তুহিনকে দেখতে পায়।