সুনামগঞ্জে শিশু তুহিনকে হত্যা, বাবা ও দুই চাচা রিমান্ডে
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে হত্যার ঘটনায় বাবা আবদুল বাছির এবং দুই চাচা আবদুল মছব্বির ও জমশেদ মিয়ার তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্তি সিনহা এ রিমান্ডে মঞ্জুর করেন।
এ ছাড়া শিশু তুহিনের আরো দুই স্বজন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খালেদ মিয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম এখনো জানা যায়নি।
আদালতে জবানবন্দি শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
হত্যার ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতেই তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
গত রোববার গভীর রাতে দিরাইয়ের রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামের বিভৎসভাবে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে হত্যা করে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়। শিশুটির লিঙ্গ ও কান কেটে, পেটে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় এলাকার মানুষ হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড এর আগে কেউ দেখেনি।
ঘটনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শিশু তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা আবদুল মছব্বির, জমশেদ মিয়া, নাছির ও জাকিরুল, তুহিনের চাচি ও চাচাতো বোনকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘থানায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে তুহিনের পরিবারের তিন সদস্য হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বিস্তারিত জানার জন্য আমরা আরো জিজ্ঞাসাবাদ করব।’
নিহত শিশু তুহিনের বাবা এলাকার অন্য একটি হত্যা মামলাসহ কয়েকটি মামলার আসামি। মামলার কারণে তাদের পরিবারের লোকজন এমন কাজ করতে পারে বলে জানান পুলিশ সুপার।