শিশু তুহিন হত্যায় বাবা ও দুই চাচা কারাগারে
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউড়া গ্রামের পাঁচ বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা জমসেদ ও আবদুল মছব্বিরকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার রিমান্ড শেষে বিকেল ৪টার দিকে তুহিনের বাবা ও দুই চাচাকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক মো.খালেদ মিয়া তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান।
গত রোববার রাতে শিশু তুহিনকে হত্যার ঘটনায় বাবা ও চাচাসহ নয়জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। হত্যার সঙ্গে পরিবারের লোকজনের সম্পৃক্ততা পেয়ে পুলিশ পাঁচজনকে আদালতে হাজির করে। নিহত তুহিনের চাচা নাছির ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খালেদ মিয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেন। কিন্তু শিশু তুহিনের বাবা ও দুই চাচা আদালতে স্বীকার না করায় তাদের তিনদিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। আজ রিমান্ড শেষে তাদের তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, তিন দিনের রিমান্ডে তাদের আমি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলাম। আজ রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হলে শুনানির পর বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামের নৃশংসভাবে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে হত্যা করে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মছব্বির, জমশেদ মিয়া, নাছির, জাকিরুল ও তুহিনের চাচি ও চাচাতো বোনসহ নয়জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। তুহিনের মা মনিরা বেগম অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় বাবা-চাচাসহ পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। মূলত অপরপক্ষকে ফাঁসাতে তুহিনের বাবা-চাচারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশ জানায়।