চিকিৎসা না পেয়ে বোনসহ মেডিকেলছাত্রীর মৃত্যু
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় খুলনা মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রী ও তাঁর ছোট বোন আজ শুক্রবার পুকুরে গোসল করতে নেমে ডুবে যান। তাঁদের পুকুর থেকে উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলেও সেখানে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না।
খবর পেয়ে খোকসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেবেকা খান হাসপাতালে গেলে তিন চিকিৎসক এসে দুই বোনকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে চিকিৎসা না পেয়ে দুই বোনের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।
পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, আজ শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনের মেয়ে ঝুমা (২৩) ও জুঁই (১৬) পাশের পুকুরে গোসল করতে নামেন। এ সময় তাঁরা পানিতে ডুবে যান। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে দুপুর ২টার দিকে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কোনো চিকিৎসক না পেয়ে তাঁরা বিষয়টি ইউএনওকে জানান। ইউএনও রেবেকা খান সোয়া ২টার দিকে হাসপাতালে এসে দেখেন কোনো চিকিৎসক নেই। খবর পেয়ে ছুটে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. কামরুজ্জামান সোহেলসহ তিন চিকিৎসক। তাঁরা দুই বোনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ঝুমা খুলনা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষ ও জুঁই নবম শ্রেণিতে পড়তেন। তাঁরা সাঁতার জানতেন না বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে ঝুমা ও জুঁইয়ের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী হাসপাতাল ঘিরে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
আরএমও কামরুজ্জামান সোহেল জানান, দুপুরে যে চিকিৎসকের দায়িত্ব ছিল তিনি পরীক্ষা দিতে যাওয়ায় ওই সময় কোনো চিকিৎসক ছিলেন না।
ইউএনও রেবেকা খান বলেন, দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সাদিয়া নামের এক চিকিৎসকের দায়িত্ব ছিল। চিকিৎসক না থাকার ঘটনা খুবই হতাশাজনক। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।