সুনামগঞ্জে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পুলিশ ৫০টি শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ছাতকের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
গত কয়েক দিন ধরে মুহিবুর রহমান মানিক এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের সমর্থকরা তাদের দুজনকে ‘কটূক্তি’ করা নিয়ে সভা-সমাবেশ করে আসছিল। মুকুট ও কালাম চৌধুরীর সমর্থকরা একসঙ্গে কাজ করেন।
এর মধ্যেই গতকাল বুধবার জাউয়াবাজার ডিগ্রি কলেজে মুকুট ও মানিকের সমর্থক দুই ছাত্রলীগ কর্মীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কালাম সমর্থকরা (তাঁরা নুরুল হুদা মুকুটেও সমর্থক) জাউয়াবাজারে মিছিল বের করে। একই সময়ে মুহিবুর রহমান মানিক সমর্থকরা পুলিশ ফাঁড়ির কাছাকাছি এলাকায় জমায়েত হয়।
কালাম সমর্থকদের মিছিল মানিক সমর্থকদের জমায়েতের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সংঘর্ষ বাধে। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তবে বেশিরভাগ নেতাকর্মী ইট-পাটকেলে আঘাতে আহত হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৫০টি শটগানের গুলি ছুড়ে। এ সময় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শত শত যানবাহন দুই পাশে আটকা পড়ে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৫০টি শটগানের গুলি ছুড়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যান চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে।