মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করেন মালয়েশিয়া নিযুক্ত হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম।

আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় হাইকমিশন চত্বরে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রবাসী সংগঠন ভাষাশহীদদের স্মরণে নীরবতা পালন, দেশ-জাতির সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করে।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাণী পাঠ করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজার কমডোর মুসতাক আহমেদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন ডেপুটি হাইকমিশনার ও দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর (শ্রম) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মো. মশিউর রহমান তালুকদার এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর (কমার্শিয়াল) মো. রাজিবুল আহসান।

হাইকমিশনার বলেন, ‘মাতৃভাষার জন্য সংগ্রাম ও জীবন দেওয়ার ইতিহাস একমাত্র গর্বিত বাঙালি জাতিরই রয়েছে। এই ভাষা-সংগ্রামের অর্জনেই লুকিয়ে ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা, যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি অর্জন করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ভাষা-সংগ্রামের রক্তাক্ত অধ্যায় একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রগতি আজ দৃশ্যমান।’

হাইকমিশনার দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবার ছাড়াও মালয়েশিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহণ করে।