সুনামগঞ্জে আরো ১১ জনের করোনা শনাক্ত
সুনামগঞ্জে নতুন করে আরো ১১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে একজন ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা হওয়ায় ব্যাংকটির সুনামগঞ্জ সদর শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত ওই কর্মকর্তাকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। বাকি আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেকেরই কোনো উপসর্গ নেই।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি ও ব্যাংকের ম্যানেজারসহ কর্মকর্তাদের বাসস্থানের আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসমিন নাহার রুমা। তিনি সবাইকে নিজ নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে প্রত্যেক কর্মকর্তার ও অফিস সহকারীদের নমুনা সংগ্রহের কথাও জানান।
এদিকে আজ জেলা সিভিল সার্জন মো. শামস উদ্দিন ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১১ জনের করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের গাড়িচালক, স্যানেটারি ইনস্পেক্টর ও একজন মাঠকর্মী হওয়ায় আজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
সুনামগঞ্জে এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো ২৬ জন। এর মধ্যে দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে ১৫ জন আইসোলেশনে আছেন। জেলায় এ পর্যন্ত ৬৪৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল জানা গেছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১১ জনের মধ্যে চারজন বিশ্বম্ভরপুর, তিনজন দোয়ারাবাজার, দুজন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ এবং সদর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় একজন করে রয়েছেন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় শনাক্ত হওয়া চারজনের মধ্যে তিনজন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্মী। অপর কিশোর (১৮) গাজীপুরে শ্রমিককের কাজ করতেন। সম্প্রতি সে বাড়িতে এসেছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলায় শনাক্ত হওয়া তিনজনের বয়স ২৩ থেকে ২৪ বছরের মতো। এরা কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিভিন্ন হোটেল ও দোকানে কাজ করতেন। গত তিনদিন আগে তাঁরা বাড়িতে এসেছেন। তাদের তিনজনের সামান্য সর্দি, জ্বর আছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় শনাক্ত হওয়া দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ৫৫, অন্যজন শিক্ষার্থী। বয়স ১৬ বছর। এরা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। ওই বৃদ্ধের এক মেয়ের গত ২৩ এপ্রিল করোনা ধরা পড়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় শনাক্ত হওয়ার ব্যক্তি তাঁর সর্দি, জ্বর হওয়ার পর তিনি নিজে থেকেই পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে যোগাযোগ করেন। এরপর ২৩ এপ্রিল তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তিনি শহরের একটি ব্যাংকে চাকরি করেন।
এ ছাড়া জগন্নাথপুর উপজেলায় আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন কর্মী।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শামস উদ্দিন বলেন, ‘আক্রান্ত ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে আনা হয়েছে। বাকি আক্রান্তদের অনেকেরই করোনার উপসর্গ নেই। তারা নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। আমরা সবার সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। যদি কাউকে আইসোলেশনে আনতে হয় সেটি করা হবে।’