কাপ্তাইয়ে একজনকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় পদ্ম কুমার চাকমা (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ওয়াগ্গ্যা ইউনিয়নের ভাইজ্যাতলি পাগলি মধ্যমপাড়া এলাকায় একটি দোকানে বসে চা পান করার সময় একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত তাঁকে ঘিরে ধরে এবং গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
নিহত ব্যক্তির বাড়ি রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী যুব উন্নয়ন এলাকায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত পদ্ম কুমার চাকমা সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছে অসমর্থিত একাধিক সূত্র।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ছুফিউল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘কে বা কারা এই ব্যক্তিকে কী কারণে হত্যা করেছে আমরা বুঝতে পারছি না। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া তথ্যে এটা আঞ্চলিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যকার বিরোধের জেরে ঘটে থাকতে পারে বলে মনে হচ্ছে’
কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন জানিয়েছেন, ওই লোক সকাল ৯টার দিকে পাগলি মধ্যমপাড়ার চা ও মুদি দোকানদার নতুন চন্দ্র তঞ্চংগ্যার দোকানে বসে ছিলেন, সেই সময় তিনজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এসে প্রথমে তাঁকে দোকানের বারান্দায় গুলি করে। গুলি খেয়ে ওই লোক দোকানের ভেতরে ঢুকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে অস্ত্রধারীরা দোকানের পেছনে দরজা লাথি মেরে ঢুকে তাঁকে আবারও গুলি করলে ঘটনাস্থলে তাঁর মত্যু হয়।
দোকানি নতুন চন্দ্র তঞ্চংগ্যা বলেন, ‘নিহত লোকটি মাঝেমধ্যে আমার দোকানে এসে বসতেন। আজ সকাল ৯টায় তিনি দোকানের বাইরে বারান্দায় বসে কলা খাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনজন অস্ত্রধারী এসে তাঁর সামনে গুলি করে হত্যা করে পাহাড়ের দিকে চলে যায়।’
বেলা ১১টার পর নিহত র স্ত্রী এবং কন্যা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং লাশ শনাক্ত করেন। নিহত পদ্ম কুমার চাকমার স্ত্রী রূপা চাকমা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী একসময় আঞ্চলিক দল জেএসএসের কর্মী ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাঁকে হত্যা করতে পারে বলে জানান তিনি ।
এই দিকে এই হত্যার পর আঞ্চলিক দলগুলোর কোনোটির পক্ষ থেকেই এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি, ফোনও ধরছেন না দলগুলোর কোনো নেতা।
পুলিশ নিহতপদ্ম কুমার চাকমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলেও জানিয়েছেন কাপ্তাই থানার ওসি।