সৌদিতে আটকে পড়াদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট
করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি আরবে লকডাউনের আগে যেসব প্রবাসী এক্সিট-রিএন্ট্রি অথবা এক্সিট ভিসা নিয়ে গেছেন, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সৌদি থেকে তারা বের হতে পারেননি। তাদের জন্য বিশেষ বিমান চালু হচ্ছে।
এ ছাড়া সৌদি আরবে ভিজিট ও ওমরা ভিসায় এসে যারা ফেরত যেতে পারেননি এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নরত ছাত্র/ছাত্রীরা দেশে ফেরত যেতে চান নিজ খরচে ওইসব ভিসাধারীদের বাংলাদেশে ফেরত নেওয়ার লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সহযোগিতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে দেশে ফেরত যেতে পারবেন বলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রথমে দুটি বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে এসব যাত্রী দেশে ফেরত যেতে পারবেন। এর একটি আগামী ১৬ জুন ছেড়ে যাবে জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে আরেকটি ছেড়ে যাবে রিয়াদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে। পরবর্তী সময়ে চাহিদা অনুযায়ী আরো ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে দেশে ফেরত যাওয়ার সুবিধা গ্রহণকারী প্রত্যেককে স্থানীয় কনস্যুলেট অথবা দূতাবাসে যোগাযোগ করে তাদের তালিকা করতে হবে।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেদ্দা অঞ্চলের উল্লেখিত ভিসাপ্রাপ্তদের দূতাবাসের নির্ধারিত ০৫৫৬২২১৮৫৮ নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করে পাসপোর্ট ফটোকপি এবং ভিসা ফটোকপি পাঠাতে হবে।
পরে দূতাবাস এবং কনস্যুলেট তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অফিসে তালিকা পাঠালে সেখান থেকে টিকেট সংগ্রহ করে আগ্রহীরা বাংলাদেশে ফেরত যেতে পারবে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিমান বাংলাদেশের রিজিওনাল ম্যানেজার জানিয়েছেন, সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওইসব যাত্রীদের বিমানে চড়তে হবে। অসুস্থ অথবা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ যেতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
দূতাবাস অথবা কনস্যুলেটের তালিকার বাইরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে কাউকে ট্রাভেল করতে দেওয়া হবে না বলে ম্যানেজার জানিয়েছেন। তালিকাপ্রাপ্তদের অবশ্যই রিয়াদ অথবা জেদ্দায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অফিস থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে হবে। কোনো ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এসব টিকেট বিক্রি করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।