সুনামগঞ্জে শিক্ষানবিশদের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির দাবি
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশদের আইনজীবী হিসেবে বার কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন সুনামগঞ্জ বারের শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি দেন তারা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সারা দেশে ৫ থেকে ১০ বছরের চেষ্টায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন তারা। কিন্তু বার কাউন্সিলের নিবন্ধন পেতে বিলম্ব হওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে স্বল্প পারিশ্রমিকের বিনিময়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। করোনার এই মহামারির সময়ে তারা অনেকটা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নিবন্ধন না থাকায় আর্থিক, মানবিক ও আইনগত সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, ২০১২ সালের আগে বছরে দুইবার বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নিবন্ধন পরীক্ষা হতো। কখনো শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই করে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হতো। বর্তমানে পদ্ধতি পরিবর্তনের কারণে একটি পরীক্ষার প্রক্রিয়া শেষ হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লেগে যায়। এমন পরিস্থিতিতে তারা কঠোর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে কেউ ২০১৭ সালে আবার কেউ ২০২০ সালে বার কাউন্সিলের বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। যার লিখিত পরীক্ষা গত মার্চ অথবা এপ্রিল মাসে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশদের বিশেষ বিবেচনায় আইনজীবী হিসেবে বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় স্মারকলিপিতে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদের কাছে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষানবিশ আইনজীবী ফজলে রাব্বী স্মরণ, আফজাল হোসেন সোহাগ, জাবির আহমদ, কৃপেশ রঞ্জন দাস, আশীষ দাস, বকুল তালুকদার, নাফিউল হক প্রমুখ।