সুনামগঞ্জে তৃতীয় দফায় বন্যা, আরো বাড়বে পানি
তৃতীয় দফায় সুনামগঞ্জের সুরমাসহ সীমান্ত এলাকার সবকটি নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। শহরের ঘোলঘর পয়েন্ট দিয়ে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার এক সেন্টি মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর দুই তীর উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে।
গত ১৫ জুন প্রথম দফা বন্য এবং গত ১০ জুলাই দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দেয়। ওই দুই দফা বন্যার ধকল এখনো জেলাবাসী কাটিয়ে উঠতে পারেনি। অনেক এলাকায় বন্যার পানি এখনো রয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই, শাল্লা, ছাতক, ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জের বেশিরভাগ ইউনিয়নের মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
দুদফার বন্যায় এলজিইডি এবং সড়ক ও জনপথের (সওজ) প্রায় ৬০০ কিলোমিটার রাস্তাঘাট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। প্রায় তিন হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, 'আবারও বৃষ্টিপাত ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আরো কয়েকদিন পানি বাড়বে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একইভাবে সুনামগঞ্জেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আবার বন্য দেখা দিতে পারে।'
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, 'প্রথম থেকেই আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে ছিলাম এবং আছি। আমিসহ আমাদের প্রশাসনের প্রত্যেক কর্মকর্তা সকাল থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছি। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে সহায়তা করছি।'
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, 'তৃতীয় দফার জন্যও প্রস্তুতি রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। দুর্গত এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাওয়ার স্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন এক লাখ ৬৯ হাজার পরিবারকে এক কেজি করে চাল বিতরণ করেছে। সেইসঙ্গে শুকনো খাবার, গো-খাদ্যসহ শিশুদের জন্যও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে।'