মেহেরপুরে ১৫ কাঠা জমিজুড়ে গাঁজার বাগান
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ১৫ কাঠা জমিজুড়ে গাঁজার বাগানের সন্ধান পাওয়া গেছে। আশপাশ থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই যে, সেখানে হচ্ছে গাঁজার চাষ। চারপাশ বিভিন্ন গাছ-গাছালি, বাঁশঝাড় ও বেড়া দিয়ে ঘেরা। এর মধ্যেই পুলিশের নজরে আসে এই গাঁজার বাগানের। জব্দ করা হয় ১৭০টির বেশি গাঁজা গাছ।
মাদকবিরোধী অভিযানে গতকাল বুধবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শেখ মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গাঁজার বাগানটির সন্ধান পায়।
পুলিশ বলছে, দুলাল হোসেন নামের এক মাদক ব্যবসায়ী গাংনীর মটমুড়া গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে ১৫ কাঠা জমিতে গাঁজা আবাদ করে আসছিলেন। সেইসঙ্গে তাঁর ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীর সম্পৃক্ততাও রয়েছে এতে। তবে খবর পেয়েই আত্মগোপন করেছেন দুলাল। তিনি পলাতক থাকলেও তাঁর ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। এর আগে গতকাল রাত থেকে পুরো এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে যান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম মুরাদ আলী।
এসপি মুরাদ আলী বলেন, ‘প্রায় এক বিঘার মতো জমিতে ১৭০টি গাঁজার গাছের সন্ধান আমরা পেয়েছি। ভালোভাবে গুনলে সংখ্যাটা বাড়তেও পারে। এই জায়গাটি জনৈক দুলালের। তিনি পলাতক রয়েছেন। তাঁর নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে পুলিশ।’
মুরাদ বলেন, ‘ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীসহ দুলালের পরিবারে চার সদস্য। এই জায়গাটি চারপাশ দিয়েই ঘেরা। বাঁশঝাড়, পাটখড়ির বেড়া ও অন্যান্য গাছপালা দিয়ে জায়গাটি এমনভাবে সুরক্ষিত করা যে, বাইরে থেকে কোনোভাবেই টের পাওয়ার উপায় নেই এবং ঢুকতে হয় উনাদের বাড়ির গেটের ভেতর দিয়ে। এই গেট তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। কেউ বাড়ির গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকতে না পারলে কোনোভাবেই এই বাগান চিহ্নিত করা সম্ভব না। গোপন সূত্রের ভিত্তিতে আমরা গতকাল রাতে সন্ধান পাই এবং তাৎক্ষণিকভাবে এখানে অবস্থান নিই ও জায়গাটি পুলিশ পাহারায় রাখি।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘বাইরে অন্য কোথাও তাঁদের কোনো জায়গা আছে কি না, এমন কোনো তথ্য পাইনি। তবে আমরা যদি আরো জিজ্ঞাসাবাদ করি এবং আরো কোনো তথ্য যদি থেকে থাকে, সে তথ্যগুলো পেতে সক্ষম হবো।
গাঁজার গাছগুলো কী করা হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে এসপি মুরাদ বলেন, ‘গাছগুলো আলামত হিসেবে আমরা জব্দ করব এবং যথারীতি মামলার যে প্রক্রিয়া সে মামলা আমরা রুজু করব।’