গুমের মামলায় গাংনীর মেয়রসহ সব আসামি খালাস
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় বদিউজ্জামান বদি গুম ও হত্যা মামলার রায়ে খালাস পেলেন গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামসহ ১১ জন। আজ বৃহস্পতিবার মেহেরপুর জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।
খালাসপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন আনারুল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম, বকুল, শফিকুল, বাবুল, নাজু, রানা, মোজাম কসাই ও মিলন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন খন্দকার আব্দুল মতিন।
খালাস পাওয়ার পর আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি যদি পাপ করতাম তাহলে আল্লাহ্তালার পক্ষ থেকে শাস্তি পেতাম। এই মামলায় সব আসামি বেকসুর খালাস পেত না।’
গাংনী পৌর মেয়র আরো বলেন, ‘এটি একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা ছিল। এ মামলার কারণে গাংনী পৌরসভার নাগরিকরা কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে অনেকাংশে বঞ্চিত হয়েছে। যে কাজটি দ্রুত ও সহজেই করা যেত সেটি পিছিয়ে গেছে।’
এদিকে, রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে গুম হওয়া বদিউজ্জামান বদির মেজো বোন অছিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি ভাইকেও হারালাম, বিচারও পেলাম না। দীর্ঘ আট বছর অপেক্ষা করেছি ভাই হারানোর বিচার পাব বলে। কিন্তু হাতাশা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। আমার ভাই হত্যার বিচার আমি চাই।’
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় বদিউজ্জামান বদি নামের এক ব্যক্তি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ২৮ এপ্রিল বদির ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মেয়র আশরাফুলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও গুমের মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নারায়ণ চন্দ্র নাথ ২০১২ সালের ২৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য ও মামলার নথি পর্যবেক্ষণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।