টিকেট জটিলতায় হুমকির মুখে সৌদিফেরত প্রবাসীদের ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশের অর্থনীতির সবেচয়ে বড় জোগান আসে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয় বৈদেশিক রেমিট্যান্স থেকে। সৌদি আরব থেকে অনেত শ্রমিকই করোনার কারণে ফ্লাইট ও টিকেট জটিলতায় ছুটিতে আসা লক্ষাধিক সৌদি প্রবাসীর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে।
টিকেট না পেয়ে আজ সোমবার সকাল থেকে কাওরানবাজারের হোটেল সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত সৌদি এয়ারলাইনসের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে এসব প্রবাসী। ফ্লাইট চালুর জন্য দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়। বিকেল ৪টায়ও সৌদি এয়ারলাইনসের কার্যালয়ের সামনে বিদেশগামী এসব প্রবাসীদের অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। তবে সৌদি এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে হ্যান্ডমাইক দিয়ে ঘোষণা করতে দেখা গেছে, ‘এখানে ভিড় করে কোনো লাভ নেই। আপনারা চলে যান। অনুমতি না ফেলে আমরা ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারব না।’
জানা যায়, চলতি মাসের ২৩ ও ২৭ তারিখ ঢাকা থেকে সৌদি আরবে সৌদি এয়ারলাইনসের দুটি ফ্লাইট যাওয়ার কথা জানায় এয়ারলাইনসটি। ফলে ফের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার জন্য সৌদি এয়ারলাইনস ও এজেন্সিগুলোর শরণাপন্ন হয় প্রবাসী শ্রমিকরা। কিন্তু গতকাল ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাংলাদেশ থেকে সৌদি এয়ারলাইনসের সব ফ্লাইট বাতিল হওয়ার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে কাজে ফিরে যেতে পারবেন কি না তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে প্রবাসীরা
ফ্লাইট চালুর জন্য সৌদি এয়ারলাইনসের অফিসের সামনে গিয়ে ভিড় জমায় হাজার হাজার প্রবাসী শ্রমিক।
প্রবাসী এসব শ্রমিক বলেন, তাদের ইকামার মেয়াদ, ভিসার মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। বেশিরভাগই ৩০ সেপ্টেম্বরের মাঝে যেতে না পারলে সব শেষ হয়ে যাবে। আর ফিরতে পারবে না সৌদিতে।
বিকেল ৩টার দিকে সৌদিপ্রবাসী শ্রমিকরা টিকেট পেতে কাওরানবাজারে সড়ক অবরোধ করে, পরে পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে কয়েকশ প্রবাসী সোনারগাঁও হোটেলের ভেতরে সৌদি এয়ারলাইনস কাউন্টারের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। তারা সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট জটিলতার বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে দুষছে।
মূলত প্রবাসী এসব শ্রমিকরা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসের ঢাকা থেকে ফ্লাইট বাতিল করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন। তারা ফ্লাইট বাতিল করায় বিমান কতৃপক্ষকে দোষারোপ করেন।