ধর্ষকের দ্রুত বিচারের দাবিতে সুনামগঞ্জে টানা প্রতিবাদ সমাবেশ
‘ঘরে বসে আর নয়, রাজপথে এবার সোচ্চার হই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষকের দ্রুত বিচার বাস্তবায়নের দাবিতে সুনামগঞ্জের সামাজিক ও সাংস্কৃতিককর্মীরা সপ্তাহব্যাপী টানা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে।
গত সোমবার জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে পদযাত্রার মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়। এরপর প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় শহরের হুসেন বখত চত্বরে সাংস্কৃতিককর্মীরা প্রতিবাদী গান, কবিতা, নৃত্যসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। শহরের অন্তত ২০টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে।
প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্বে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজিয়া হক ফারিন, থিয়েটার সুনামগঞ্জের সহদলনেতা তাজকিরা হক তাজিন, রঙ্গালয় থিয়েটারের কার্যকরী সদস্য নাহাত হাসান পৌলমী, আবৃত্তি শিল্পী তাইয়্যিবা তারান্নুম সিনথিয়া, সরকারি এসসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কেবিনেটের প্রেসিডেন্ট শেখ তাবাসসুম তাসফিয়া মাহজাবিন।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের জেলা প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট এ. আর জুয়েল উদীচীর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম মাহবুব, রঙ্গালয় থিয়েটারের সভাপতি মুহিম তালুকদার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, সৃষ্টি থিয়েটারের সভাপতি সামিনা চৌধুরী মনি, বন্ধন থিয়েটারের সভাপতি সামির পল্লব, জাগরণী মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক এ আহসান রাজীব, সুনামগঞ্জ প্রসেনিয়াম থিয়েটারের দলনেতা সাদিকুর রহমান খান রুবেল, ছাত্রনেতা দ্বিপাল ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাফান্নুম কাগজি তিশা, মাকসুদুর রহমান দিপু প্রমুখ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা শাহ জুনায়েদ আহমেদ সৃজন, স্কাউটার দূর্জয় দত্ত, পুরকায়স্থ থিয়েটার সুনামগঞ্জের সহদলনেতা সোহানুর রহমান সোহান, তুষার তালুকদার জিহান যোবায়ে, ইফতেখার সাজ্জাদ পিয়াল, নাবিল চৌধুরী, দুর্বার সামিত আদি ও নাঈম ইসলাম।
দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে উল্লেখ করে সমাবেশে বক্তারা বলেন, নারী ও শিশুরা ঘরে-বাইরে কোথাও এখন নিরাপদ নয়। সমাজের সর্বত্র এখন একটা ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ধর্ষকদের বিচার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি এসব জঘন্য কর্মকাণ্ড রুখতে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রকে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।