মানিকগঞ্জে দুই শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার কলাগারিয়া সরকারি খালে মাছ ধরতে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে শিশু দুই ভাই। গতকাল সোমবার সোমবার এই ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার দুই শিশুর নাম জেম হোসেন (৮) ও তার ভাই রাহুল হোসেন (৬)। গুরুতর আহত অবস্থায় জেমকে উথলীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
জমির বিরোধে কলাগারিয়া গ্রামের ওয়াজউদ্দিন ও তাঁর ভাই আবদুল জলিল শিশুদের এই নির্মম নির্যাতন করেন বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। পাশের নয়ারচর গ্রামের আবদুল বাতেনের ছেলে জেম কলাগারিয়া বেলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ও রাহুল প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আবদুল বাতেন জানান, তিনি বরংগাইল হাট-বাজারে কুলির কাজ করেন। কলাগারিয়া দক্ষিণ চকে ৫৮ শতাংশ জমি তাঁর বাবা কাশেম আলী ৪০ বছর ধরে বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ দখল করছেন। চার বছর আগে আবদুল জলিল এই জমির মালিকানা দাবি করলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে মোকদ্দমা করা হলে উচ্চ আদালতও কাশেম আলীর পক্ষে রায় দেন। এরই মধ্যে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জলিলের বাড়ির দক্ষিণ পাশে সরকারি খালে জেম ও রাহুল জাল নিয়ে মাছ ধরতে যায়। এ সময় জলিল ও ওয়াজউদ্দিন তাঁর দুই শিশু ছেলেকে নির্মমভাবে মারপিট করে পা দিয়ে চেপে কাদার ভেতর অর্ধেক পুঁতে ফেলেন। শিশুদের চিৎকারে স্বজন ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় শিবালয় থানায় মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ওয়াজউদ্দিন ও তাঁর ভাই আবদুল জলিলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আরশাদ উল্লাহ জানান, মারপিটে আহত জেমকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও কোনো হাড় ভাঙেনি। তাকে আরো কয়েক দিন এখানে ভর্তি থাকতে হবে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং শিশুদের সঙ্গে কথা বলেছে। আর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।