আপনার জিজ্ঞাসা
নামাজে প্রতি সূরার আগে বিসমিল্লাহ পড়তে হবে?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৭৪৪তম পর্বে কাতারের দোহা থেকে ই-মেইলে মিজান ও মুহাম্মদ আলী জানতে চেয়েছেন, নামাজে প্রতিটি সূরা পড়ার আগেই কি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়তে হবে বা এটা পড়া কি ফরজ ? অনুলিখনে ছিলেন সজীব খান।
প্রশ্ন : নামাজে প্রতিটি সূরা পড়ার পূর্বেই কি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়তে হবে বা এটা পড়া কি ফরজ?
উত্তর : সূরা আল ফাতেহা যখন আপনি তিলাওয়াত করবেন, তখন বিসমিল্লাহ পড়বেন। এটাই হলো সুন্নাহ। কেউ কেউ এটাকে বাধ্যতামূলক বলেছেন। যেহেতু কোরআনুল কারিমে সূরা আল ফাতেহার অন্যতম প্রথম আয়াত হচ্ছে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। এই মাসআলার মধ্যে আলেমদের দ্বিমত থাকলেও বিশুদ্ধ দিক হচ্ছে এটি সূরা ফাতেহার আয়াত। তাই অধিকাংশ তাহকিক মাহকিক ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, সূরা ফাতেহার শুরুতেই বিসমিল্লাহ পরেই তার পর শুরু করব। অবশ্য আবু মোহাম্মদ বাক্কি রাহমাতুল্লা আলাইর যে রেওয়াত রয়েছে, সে রেওয়াতের মধ্যে কিন্তু এটাকে আয়াতই উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে কিন্তু কোনো অপশন নেই যে সূরা ফাতেহার আগে বিসমিল্লাহ পড়বে না, এ ধরনের কোনো অপশন নেই। বাকি অন্য যে সূরাগুলো রয়েছে, সেগুলোর শুরুতেই বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নাহ। এটি ওই বিসমিল্লাহ যে লেখা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন লেখার জন্য।
তাই সে ক্ষেত্রে কেউ যদি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ে, তাহলে তিনি সুন্নাহ ঘোষণা করলেন। আর যদি না পড়েন, এতেও কোনো অসুবিধা নেই। যেহেতু এটি ওই সূরার আয়াত বা অংশ নয়।