ঘুমন্ত স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আটক
দাম্পত্য কলহের জেরে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। পুলিশ শ্বশুরবাড়ির বসতঘরের বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে থাকা লাশ উদ্ধার করে। এ সময় স্ত্রী রবিনা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত স্বামী রুক্কু মিয়া (৩৮) জেলার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে।
পারিবারিক ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম মাহমুদুল হক জানান, রুক্কু মিয়া তিনটি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে প্রথম স্ত্রী রবিনা ছাড়াও পরে নোয়াখালীতে দ্বিতীয় ও গাজীপুরে তৃতীয় বিয়ে করেন। রুক্কু মিয়ার সঙ্গে ১১ বছরের সংসার জীবনে রবিনার নয় বছর ও সাত বছরের দুইটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে স্বামী রুক্কু মিয়া রবিনার ভরণপোষনের দায়িত্ব পালন করছিলেন না। একাধিক বিয়ে ও ভরণপোষন না করা নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এরই জেরে রবিনা প্রায় দুই মাস ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
ওসি আরও জানান, গতকাল ঈদের দিন সন্ধ্যায় কলমাকান্দার কৈলাটি গ্রামে রুক্কু মিয়া তাঁর শ্বশুর বজলুর রহমানের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতের খাবার খেয়ে রুক্কু মিয়া ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত ২টার দিকে বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা রুক্কু মিয়ার মাথার ডানপাশে কুড়াল দিয়ে কোপ দেন রবিনা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রুক্কু মিয়া। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। বাড়ি থেকে রবিনাকে আটক করা হয়।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিনাকে ভরণপোষন না দেওয়া ও একাধিক বিয়ে নিয়ে দাম্পত্য কলহের কারণে স্বামীকে কুড়াল দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যার করার কথা জানিয়েছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।